রাজধানীতে ১০ জনের পর আরও সাত জনের নিখোঁজের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে তিনজন নারীও রয়েছেন। নিখোঁজ ৭ জনের ৫ জনের বাসাই রামপুরায়। একজনের বাসা গুলশানে। অন্যজন নিখোঁজ হন বনানী থেকে। সবার পাসপোর্ট নম্বরও পাওয়া গেছে। তাদের জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গুলশান হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে উঠে আসে দীর্ঘদিন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ১০ তরুণের নাম ও ছবির একটি তালিকা। এই তালিকার দু সপ্তাহের মধ্যেই আরো সাত জনের তথ্য পেয়েছে অনুসন্ধানকারীরা। দীর্ঘদিন পরিবার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই সাত জনও সমাজের উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেজান রউফ ওরফে অর্ক ওরফে মরক্কো থাকতেন রাজধানীর গুলশানে। পরিবারের দাবি অনেক দিন ধরে তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
সেজানের প্রায় সমবয়সী রামপুরার বাসিন্দা সাদ কায়েস। দীর্ঘ দিন নিখোঁজ। একই বয়সী রামিতা রোকন। তার বাসাও রামপুরাতেই। পরিবারের সঙ্গে সেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করা হয়েছে।
নিখোঁজ আরেকজন রামপুরার এলাকার চিকিৎসক রোকনুদ্দীন খন্দকার। পরিবার তার কোনো খোঁজ জানে না, বলছে অনুসন্ধানকারীরা।
রামপুরার আরেক বাসিন্দা নাইমা আক্তারের সন্ধান নেই পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কারো কাছেই।
নিখোঁজ আরেক তরুণী রেজওয়ানা রোকনের আবাসস্থলও রামপুরায়। পরিবার থেকে সে-ও দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বলে জানা গেছে।
নিখোঁজ তরুণ তাওসীফ হোসেনের বাসা বনানীতে। সেও নিখোঁজ অনেক দিন ধরেই। যোগাযোগ নেই পরিবারের সঙ্গেও।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিখোঁজ এই সাতজন কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর প্রত্যেকের পরিবারের পক্ষ থেকে এই নিখোঁজদের ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।