রাজধানীতে বাসা ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে ব্যাচেলরদের। ঢাকায় ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া পেতে আগে থেকেই ভোগান্তি ছিলো এখন সেখানে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ‘জঙ্গি ইস্যু’। আর এ কারণে বাড়তি টাকা দিতে রাজি হয়েও বাসা পাচ্ছেন না ব্যাচেলররা।
বাড়ির মালিকেরা বলছেন, শঙ্কা মুক্ত থাকতে বাধ্য হয়েই তারা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তবে ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দিতে আলাদা করে পুলিশের কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
ধানমণ্ডিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে গড়ে তোলা হয় ছোট্ট এই হাউজিং সোসাইটি। উদ্দেশ্যটা বাণিজ্যিক। ব্যাচেলরদের কাছ থেকে ভাড়া পাওয়া যায় বেশি। কিন্তু বিধিবাম।
কল্যাণপুরের জঙ্গি অভিযানের পর সাতটি বাড়ির প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর সবাইকে একসাথে বাসা ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও কোনো কারণ বলা হয়নি। এসব বিষয়ে কথাও বলতে রাজি নন মালিকদের কেউ।
নগরজুড়ে অসংখ্য বাড়ি ভাড়ার নোটিশ ঝুললেও থাকার জায়গা নেই ব্যাচেলরদের। আগে থেকেই রাজধানীতে ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া নিয়ে ভোগান্তি ছিলো; সেখানে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে কল্যাণপুর, শোলাকিয়া আর গুলশানের ঘটনা।
কয়েকটি ঘটনায় দেখা গেছে জঙ্গিরা মেস ভাড়া করেই থাকে। গুলশান ও কল্যাণপুরের ঘটনায় ভাড়াটিয়া সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য না দেওয়ায় বাড়ির মালিককে আটক করা হয়েছে। এসব কারণে বাড়ির মালিকেরা ব্যাচেলরদের নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভাড়াটিয়া যেই হোক তথ্য দিতে হবে পুলিশকে।
তবে সব তথ্য দিয়েও মালিকের মন গলাতে পারছেন না ব্যাচেলররা।
লেখাপড়া ও জীবিকার তাগিদে প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষ ঢাকায় আসেন এর বড় একটি অংশই ব্যাচেলর। সম্প্রতি ব্যাচেলরদের যে হারে উচ্ছেদ করা হচ্ছে তাতে ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন ঢাকার সব মেস উঠিয়ে দিলেই কী জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব?