সৌদি আরবের বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে প্রাধান্য বিস্তার করছেন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শ্রমিকরা। রিয়াদ, মক্কা ও পূর্বাঞ্চলে মোট কর্মশক্তির শতকরা ৫৫.৮ ভাগই এ তিনটি দেশের শ্রমিক। সৌদি আরবের শ্রম ও সমাজ উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। মক্কার পত্রিকাকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন সৌদি গেজেট। এতে বলা হয়েছে, বেসরকারি খাতে সৌদি আরবের নাগরিকের শতকরা হার হলো ১৬.৭ ভাগ। এ খাতে তাদের মোট কর্মজীবীর সংখ্যা ১৮ লাখ। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরবে বর্তমানে এক কোটি ৮ লাখ বিদেশী কর্মজীবী রয়েছেন। তার মধ্যে ৯০ লাখই সেখানকার শ্রম বাজারে নিয়োজিত। এক্ষেত্রে ভারত রয়েছে শীর্ষে। তাদের মোট ২১ লাখ শ্রমিক রয়েছেন সৌদি আরবে। মোট বিদেশী শ্রম শক্তির শতকরা ২৪ ভাগই তারা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। সৌদি আরবে তাদের রয়েছে মোট ১৯ লাখ ৪০ হাজার শ্রমিক। মোট বিদেশী শ্রমশক্তির শতকরা ২১ ভাগ তারা। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশীরা। তাদের মোট সংখ্যা ৯ লাখ ৭২ হাজার। বিদেশী মোট শ্রমশক্তির শতকরা ১০.৮ ভাগ তারা। অর্থনৈতিক বিশ্লেষক রশিদ আল ফুজান মনে করেন, এসব দেশের শ্রমিকরা কম বেতনে কাজ করতে রাজি হন এবং তারা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কাজ করার সক্ষমতা রাখেন। তাই বেসরকারি খাতে তাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে। এসব শ্রমিক কঠোর পরিবেশে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন অবকাঠামোতে কাজ করতে সক্ষম। সৌদি আরবে শ্রম বাজারে তাদের সংখ্যা প্রচুর। ফলে যে বেতন দেয়া যায় তাতেই তারা সন্তুষ্ট থাকেন। অন্যরা যেসব কাজ করতে লজ্জা বোধ করেন এশিয়ার শ্রমিকরা সে সব কাজ নেনন। এর মধ্যে রয়েছে পরিচ্ছন্নকর্মী, বিভিন্ন ক্ষেত্র রক্ষণাবেক্ষণ। শুধু সৌদি আরবেই নয়, বিভিন্ন দেশে এ তিনটি দেশের শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। ফুজান মনে করেন, এ দেশগুলো তাদের জনশক্তিকে বিদেশী অর্থ উপার্জনে উৎসাহিত করে।