লিবিয়া উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শরণার্থীকে। ইতালির কোস্ট গার্ডরা বলেছে, এটাই এ ধরনের সবচেয়ে বড় অভিযান। লিবিয়ার সাব্রাথা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ৪০টি সমন্বিত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, উদ্ধার করা এসব শরণার্থীর বেশির ভাগই ইরিত্রিয়া ও সোমালিয়ার। তারা উদ্ধারকারী জাহাজ দেখতে পেয়ে উল্লাস করতে থাকে। কেউ কেউ পানিতে নেমে পড়েন। সাঁতরাতে শুরু করেন উদ্ধারকারীদের উদ্দেশ্যে। রোববার একই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১ শতাধিক শরণার্থীকে। সোমবারের সমন্বিত অভিযানে যোগ দেয় ইতালির নৌযান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত বিষয়ক এজেন্সি ফ্রোনটেক্স, এনজিও প্রোএকটিভা ওপেন আর্মস এবং মেডিসিনস স্যান্স ফ্রোনিটয়ারর্স। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বোটগুলোতে এসব শরণার্থীতে ছিল গাদাগাদি। স্বাস্থ্য উপযোগী ছিল না তা। ফুরিয়ে গিয়েছিল জ্বালানি। গত বছর ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী ইউরোপে পৌঁছান। তাদের বেশির ভাগই যুদ্ধকবলিত সিরিয়ার। এর মধ্যে আয়লান কুর্দি নামে একটি শিশু শরণার্থী বিষয়ক সঙ্কট কতটা গভীরে তা বিশ্ববাসীকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় গ্রিসের উপকূল থেকে। মুহূর্তেই সে বিশ্ববাসীর কাছে শরণার্থীদের প্রতীক হয়ে ওঠে। এর পরই ইউরোপ শরণার্থীদের বিষয়ে নরম হয়। কিন্তু গত মার্চে তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তিতে সম্মত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাতে বলা হয়, তুরস্ক থেকে গ্রিসে শরণার্থীদের প্রবাহ বন্ধ করবে তুরস্ক। অন্যদিকে বলকান দেশগুলো শরণার্থীদের জন্য তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।