রাজধানীসহ সারাদেশে পুরোদমে চামড়ার কেনা-বেচা চললেও লবণের দাম বাড়ার পাশাপাশি কৃত্রিম সংকট তৈরি হওয়ায় সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পোস্তায় প্রথমদিনে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।
এদিকে, দাম কম পাওয়ার আশঙ্কায় চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এদিকে, সাভারের কয়েকটি ট্যানারিতে চলছে চামড়া লবণ দেয়ার কাজ। এবারই প্রথম ২-১ টি ট্যানারি চামড়া প্রক্রিয়াজাত করবে বলে জানিয়েছেন ট্যানারি মালিকরা।
রাজধানীসহ সারাদেশ থেকেই ট্রাক বোঝাই করে কাঁচা চামড়া আসছে হাজারীবাগ ও লালবাগের পোস্তা এলাকায়। আড়তদাররা চামড়া কিনছেন, লবণজাত করছেন শ্রমিকরা। দুটি স্থানে পুরোদমে চলছে সংরক্ষণ প্রক্রিয়াও। পোস্তার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, প্রথম দিনেই চামড়া কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেতে পেরেছেন তারা। তবে, হঠাৎ করেই লবণের দাম বেড়ে যাওয়া এবং শ্রমিক সংকট থাকায় সংরক্ষণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
পোস্তা থেকে চামড়া যাচ্ছে হাজারীবাগে। আবার ঢাকার বাইরে থেকে সরাসরি চামড়া আসছে হাজারীবাগের ট্যানারিতে। সেখানেও তাই চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার একই চিত্র। তবে, দ্রুত চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করতে পারলে অন্তত ২৫ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তাদের।
তবে, সরকার নির্ধারিত দামে লবণজাত না করা চামড়া কিনে ফেলায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এদিকে, ট্যানারিগুলো সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তর নিয়ে টানাপোড়নে পরে। এবার প্রথমবারের মতো সাভারের কয়েকটি ট্যানারিতে চামড়া সংরক্ষণে ব্যস্ততা দেখা গেছে।
মোট চাহিদার অন্তত ৬০ শতাংশ চামড়া সংগ্রহ করা হয় কোরবানির পশু থেকে। তাই সারাবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যবসায়ীরা মুখিয়ে থাকেন কোরবানি কেন্দ্র করে। এবার প্রায় ১ কোটি পিস পশুর চামড়া সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা ব্যবসায়ীদের।