শনিবার বিকেলে সময় বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আর স্ত্রী। আট দিনের সফরে রাজ দম্পতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন। দেখা করবেন শরণার্থী ও আদি আমেরিকানদের সঙ্গে।
বিয়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো কানাডা সফরে গেছেন ব্রিটিশ রাজ দম্পতি। তবে এবারে তাদের সঙ্গী হয়েছে পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ দুই সদস্য জর্জ ও শার্লট। তাদের বহনকারী বিমানটি অটোয়ায় অবতরণ করলে রাজ দম্পতিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফি গ্রেগরি।
পুত্র-কন্যাকে নিয়ে এই সফর গেলো সময়ের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তিন বছর বয়সী প্রিন্স জর্জ ও ১৬ মাসের শার্লটের এটাই প্রথম রাজকীয় ভ্রমণ। কিন্তু নতুন দেশে আসার উচ্ছ্বাসের পরিবর্তে জর্জের চোখেমুখে ছিলো রাজ্যের ক্লান্তি। দীর্ঘ ৮ ঘন্টার যাত্রার কারণেই হয়তো প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সঙ্গে করমর্দন বা হাই ফাইফ দেয়ায় কোন আগ্রহই দেখাননি। অন্যদিকে মুখের ভেতর আঙুল পুরে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন শার্লট।
গণমাধ্যমের ভিড়ভাট্টা এড়াতে সন্তানদের ছাড়াই ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনায় অংশ নেন ডিউক ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজ। এর আগে তারা ভিক্টোরিয়া স্মৃতিস্তম্ভে আফগান যুদ্ধে নিহত দেড় শতাধিক কানাডীয় সেনাদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে ফরাসী ভাষায় বক্তব্য দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন যুবরাজ। কানাডায় ইংরেজির পর ফরাসি ভাষাই সবচেয়ে প্রচলিত।
আট দিনের এই রাজকীয় সফরে পুরো পরিবার নিয়ে দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন উইলিয়াম। এর আগে ২০১১ সালে বিয়ের ৩ মাস পর কানাডা সফরে এসেছিলেন উইলিয়াম। তবে কানাডায় তার প্রথম রাজকীয় ভ্রমণ ছিলে ১৯৯১ সালে, মা-বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে। সে সময় উইলিয়ামের বয়স ছিলো ৯ বছর।