ফতুল্লায় একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে ৩১০ রানের টার্গেট দিয়েছে বিসিবি একাদশ। এছাড়া দলের হয়ে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান মুশফিকুর রহিম। এছাড়া অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা নাসির হোসেনও দারুণ ব্যাটিং করে বড় স্কোরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মাত্র ৯১ বলে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১২১ রান করে থামেন বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল। শতক পূর্ণ করেন ৮১ বলে। এর আগে ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুটি দর্শনীয় বাউন্ডারি মেরে ভালো ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দেন ইমরুল। উইকেটে সাবলীল থেকে একের পর এক বাউন্ডারি মেরে বিসিবি একাদশের ইনিংসকে এগিয়ে নেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ওপেনিংয়ে ইমরুলের সঙ্গী সৌম্য সরকার ৭ রান করে ক্রিস ওকসের বলে জস বাটলারের গ্লাভসে ধরা পড়েন। বেশ কিছুদিন অফফর্মে থাকা সৌম্য এ ম্যাচেও নিজেকে চেনাতে পারলেন না। পরে ইমরুলের সঙ্গে জুটি বেধে তরুণ ক্রিকেটার নাজমুল হাসান শান্ত ৩৬ রান করে যখন ফেরেন দলের রান তখন ১২০।
জাতীয় দলের ম্যাচে রান খরায় ভোগা মুশফিককে এ ম্যাচে হঠাৎই সবাই আবিষ্কার করেন। তবে ৫৭ বলে পাঁচ চারের সাহায্যে ৫১ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। পরে বেন স্টোকসের বলে আউট হন।
এদিকে টাইগারদের শেষ কয়েকটি সিরিজে জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে সুযোগ না পাওয়া নাসির এ ম্যাচে দলনেতা হিসেবেই মাঠে নামেন। আর ৪৫ বলে চারটি চার ও একটি ছ্ক্কায় ৪৬ রানের দৃঢ় এক ইনিংস খেলে নির্বাচকদের বোঝান তিনি ফুরিয়ে যাননি।
বিসিবি একাদশে টেলএন্ডার ব্যাটসম্যানদের সামনে নিজেদের ইনিংস আরও বড় কারার সুযোগ ছিল। তবে শেষ দিকে শুভাগত হোম, উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ও আল-আমিনরা উইকেটে থিতু হতে পারেননি।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পান পেসার ক্রিস ওকস। এছাড়া দুটি করে উইকেট তুলে নেন ডেভিড উইলি ও বেন স্টোকস। একটি উইকেট লাভ করেন স্পিনার আদিল রশিদ।