লেখকঃ আবদুল মালেক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। সম্পাদনায়- ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী। উপদেষ্টা, স্বদেশ নিউজ২৪.কম
শেখ হাসিনাকে বলা হয় “A visionary leader of South Asia, অামার কথা নয়, প্ল্যানেট ফিফটি-ফিফটি পুরস্কারের বক্তৃতার কথা। বাঙালী জাতিকে মৌলিক সত্ত্বায় ফিরিয়ে অানা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সামাজিক, অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে তাঁর নিরলস শ্রমের উপলব্ধি থেকে এই মূল্যায়ন। এছাড়া ভিশন-২০২১ ও ২০৪১-কে তাঁর রাষ্ট্রনায়কোচিত চিন্তার ফসল বলেই ভাবা হচ্ছে।
প্রতিকুলতা ঠেলে ঘুরে দাড়ানোর অদ্ভুত ক্ষমতা এ দেশের মানুষের, প্রয়োজন মেধাবী নেতৃত্ব অার সঠিক দিকনির্দেশনা। দীর্ঘ বঞ্চনার পর সেই সঠিক নেতৃত্বে এলেন মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। একটি ভাষণে নিরস্ত্র মানুষগুলো হয়ে ওঠে কামানের অপ্রতিরোধ্য গোলা। যাদের কাছে অসহায় অাত্মসমর্পন করেছিল চৌকষ সেনাবাহিনী। মি. কিসিঞ্জার, অাপনাকে অামন্ত্রন, শুন্য ঝুড়ির বর্তমান রূপটি একবার দেখে যান।
একটি সংসার পরিচালনার জন্য বাজেট থাকে, হতে পারে মাসিক কিংবা বাৎসরিক। পরিবারের প্রতিটি সেক্টর হিসাবে রাখতে হয়। খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা সব কিছুই। অায়ের সাথে সঙ্গতি রেখে চললে ঋণের ঝুকি এড়ানো যায়। রাষ্ট্রও ঠিক তেমনি। বাজেট ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সুদূরপ্রসারী লক্ষ অতি অাবশ্যক। দীর্ঘ ৩৮ বছর পর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা রূপকল্প-২০২১ উপস্থাপন করেন।
১৯৭৫-৯৬ সাল। রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে ছিল স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়া দল অাওয়ামী লীগ। সৈরশাসক ও তাদের উত্তরসুরিরা ২১ বছরে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস পাল্টে দেবার চেষ্টা করেছে, রাজাকারদের করেছে রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার। ফলে অাকাঙ্খিত উন্নয়ন তো দুরের কথা ভুলতে বসেছিল অামাদের গৌরবের কথা। অবশেষে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে অামরা বুঝতে পারলাম, এ দেশ বাঙালীর, এ দেশ মুক্তিযোদ্ধার।
অলরেডি নিম্ন-মধ্যম অায়ের দেশ অামরা। হেনরি কিসিঞ্জারের কল্পিত শূণ্য ঝুড়িটি অাজ ফুলে-ফলে সমৃদ্ধ। অনুন্নত দেশের রোল মডেল এখন বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে পৌঁছে যাবো মধ্যম অায়ের দেশের তালিকায়। দাবিয়ে রাখা যাবেনা, ২০৪১ সালে পৃথিবীর মানচিত্রে সমৃদ্ধ দেশ হবে লাল-সবুজের প্রিয় বাংলাদেশ। এই ক্রম উন্নতি অনেকের অসহনীয় হলেও অস্বীকার করার কোনোই উপায় নাই, তাতে কিসিঞ্জারের হৃদয়ে যতই রক্তক্ষরণ হোক না কেন।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।