নিশ্চিত জয় হাতছাড়া করেছে দল। তাই বসে থাকেননি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। চলে গেছেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করতে। সেখান থেকে বের হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কী বলেছেন তা বলেন। আলোচনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তো আর ক্রিকেট এক্সপার্ট না। এখানে অনেক ক্রিকেট এক্সপার্ট আছে। আমি বলেছি এমন পরিস্থিতি হলে তোমাদের খেলাটা শেষ করে আসতে হবে। বড় বা রিস্কি শট নেয়ার দরকারই নেই। তোমাদের শেষ করে আসতে হবে, এই দায়িত্বটা নিলে আমরা কোনো ম্যাচেই হারবো না। কিন্তু তোমরা যদি মনে করো ম্যাচ জিতে যাবো, অন্যরা তো আছেই, আমার দায়িত্ব শেষ তাহলে তো হবে না। তাহলে কিন্তু আমরা জিততে পারবো না। এটাই বলেছি। তারা আমার সঙ্গে একমত। আমার মনে হয় এখানে যে ভুল হয়েছে আগামীতে আমরা তা শুধরাতে পারবো।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে লেজের দিকের ব্যর্থতায় হারের পর জোর দাবি উঠেছে নাসির হোসেনকে খেলানোর। সাত আর আটে ব্যাট করতে নেমে অনেক ম্যাচেই জয়ের নায়ক হয়ে মাঠ ছেড়েছেন নাসির। মাঝে একটা বাজে সময় কাটিয়ে দলে ফিরেন। শেষ পাঁচ ম্যাচে কোনো ফিফটি না থাকলেও সাত নম্বরে ব্যাট হাতে নিয়মিত ৩০/৪০ রানের ইনিংস খেলেন নাসির। এমনকি ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বল হাতেও দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। এ পর্যন্ত ১৯টি উইকেটও পেয়েছেন। কিন্তু গত বছর ১১ই নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ০ রানে আউট হওয়ার পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ হয়নি। যদিও মূল স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। ১০ মাস পর দেশের মাটিতে ফের আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মূল স্কোয়াডে থাকলেও এখন পর্যন্ত জায়গা করে নিতে পারেননি একাদশে। গতকাল বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ইঙ্গিতে জানা গেলো হয়তো দ্বিতীয় ম্যাচেও নাসির হোসেন নেই টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায়। নাসির দলে আসতে পারেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত কিংবা স্পিনার মোশাররফ হোসেন রুবেলের পরিবর্তে। কিন্তু মোসাদ্দেকের মতো প্রতিভাকে দ্রুতই বাদ দিতে চাইবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। আর ৮ বছর পর দলে ফেরা মোশাররফ হোসেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট পেলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওভারে দিয়েছেন ২৩ রান। কিন্তু দলে সাকিব ছাড়া আর কোনো বাঁহাতি স্পিনার না থাকায় তাকেও বাদ দিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছে না দল। এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, নাসিরকে আনতে হলে সরাতে হবে মোশাররফ হোসেন রুবেলকে। কিন্তু একজন বাঁহাতি স্পিনার দিয়ে ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে খেলা সহজ না। ওদের এই শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ যেখানে নাকি চারজন ডানহাতি হিটার ব্যাটসম্যান আছে। সেখানে এটা রিস্কি হয়ে যায়। মোশাররফ রুবেল কিন্তু ?এখানে শুধু বোলার হিসেবে আছেন। ওর কাছ থেকে আমরা অন্য কিছু আশা করিনি। ম্যানেজমেন্ট যেটা দলের জন্য ভালো হয় সেটাই করবে।’
এছাড়া দলে ঘনঘন পরিবর্তনের পক্ষে নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। নাজমুল হাসান বলেন, ‘মাশরাফি সেরা ক্যাপ্টেন আমার জানা মতে। কোনো ম্যাচে খারাপ সিদ্ধান্ত হতে পারে দুই-একটা। অনেকে খারাপ খেলতেই পারে। মোশাররফ রুবেল বা মোসাদ্দেককে যদি এক ম্যাচ পরই বাদ দেয়া হতো সবাই কী বলতো? আরেকটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে যেটা আজ সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে সেটা হলো খুব ঘন ঘন পরিবর্তন করা ঠিক না দলের জন্য। তাতে যারা নতুন আসবে সবাই চিন্তিত থাকবে। এদেরকে নিশ্চিন্তভাবে খেলতে দিতে হবে। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শক্তি এখন ওরা নিশ্চিন্তভাবে খেলে। তিন উইকেট পড়ার পরও প্রথম বলে ওরা ছয় মারতে যায়। ওরা ভয় পায় না। আমরা চাই আমাদের দল নিশ্চিন্তভাবে খেলুক।’