ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের অবৈধ স্থাপনা বার বার উচ্ছেদ করা হলেও ঘণ্টা কয়েকপর পুনরায় তা হয়ে যায় আগের মত।
মেয়র জানালেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। আর হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, ঘাটতি রয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিয়মিত নজরদারির।
এটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের চিত্র। দখল হয়ে গেছে রাস্তার দু’পাশ। রাখা হয়েছে অসংখ্য বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, সিএনজি আর রিকশাতো রয়েছেই।
তবে উদ্বেগজনক হল খাবার হোটেল, কাপড়ের দোকানসহ শতাধিক দোকান দখল করে রেখেছে হাসপাতালের সামনের সড়ক ও ফুটপাত। এমনকি ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক আমতলা এখন অবৈধ দখলদারের খপ্পরে।
একাধিকবার উচ্ছেদের পরও কোন শক্তিতে পুন:রায় জায়গা দখল হয়। প্রশ্ন ছিল হাসপাতালের পরিচালকের কাছে।
ডিএমসির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বার বার উচ্ছেদ করার পরও তারা আবার বসে। পুলিশি পদক্ষেপ ছাড়া তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।’
কিছু রাজনৈতিক কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যোগসাজশে এ স্থাপনাগুলো সরানো সম্ভব হচ্ছেনা বলে, নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা বললেন দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকন।
ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষের চিকিৎসার আশ্রয়স্থল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সিটি করপোরেশন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিয়মিত নজরদারির অভাব ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তদারকির ঘাটতির কারণে সরানো যাচ্ছেনা অবৈধ স্থাপনা। যার ফলে বিপাকে পড়ছেন প্রতিদিন সেবা নিতে আসা হাজারো রোগী ও তার স্বজনরা।