৩৫ বছর পূর্বে শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন, তাঁর বয়স আজকের অর্ধেক। সব হারানো জবুথবু নিঃস্ব এক মানুষ। শংকিত পদযাত্রা, রাজনীতির তপ্তপথের নবীন যাত্রী। সেই তিনি আজ পক্বকেশ সত্তর ছোঁয়া অভিজ্ঞ দলনেত্রী, সরকার প্রধান। দীর্ঘ যাত্রাপথ ফুল বিছানো ছিল না। চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দল ও দেশকে তুলে এনেছেন ভিন্ন উচ্চতায়।
আমাদের গর্বের জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি” গাইলেন বিশ্বের ১৪টি দেশ থেকে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা প্রতিনিধিবৃন্দ। কণ্ঠ মিলালেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সাধারন সম্পাদকসহ হাজার হাজার উপস্থিত কাউন্সিলর, মেহমান, অভ্যাগতবৃন্দ। চায়না, কানাডা, ইতালী, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নেপালের প্রতিনিধিগণ উচ্ছসিত প্রসংশা করলেন বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার।
না, চাইতে হবে না। বাংলাদেশের নেতৃত্বে যিনি আছেন, না চাইতেই মানুষের চাহিদা বুঝতে পারেন। তাঁর ধমনীতে যে বঙ্গবন্ধুর রক্ত যিনি সাধারন মানুষের প্রতিটি নড়চড়া বুঝতেন হৃদয়ের অনুভুতি দিয়ে। শেখ হাসিনা আজ বলেন, “‘তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বলবো, নিজ নিজ এলাকার দরিদ্র মানুষের তালিকা করুন। ভূমিহীন, হতদরিদ্র মানুষের ঘরবাড়ি করে দিব, কোনো মানুষ অভুক্ত থাকবে না’।
বঙ্গবন্ধুর একটি স্মৃতিচারণ করি। ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা মিলিটারি একাডেমী সফরে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি কোনোদিনই ভাবি নাই স্বাধীন দেশে আমাদের মিলিটারি একাডেমী হবে। তবে আমার বিশ্বাস ছিল, আমি ভাগ্যবান। আমি আরো কি দেখতে চাই জানো, আমার গরীব-দুঃখী মানুষের মুখের হাসি, আমার সোনার বাংলা।” হ্যা, তাঁর সেই অপুর্ন সাধই পূরন করতে চলেছেন তাঁর যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। দেশজুড়ে গরীব মানুষের তালিকা হচ্ছে সে কারনেই।
হৃদয় ছোঁয়া বক্তব্য রেখেছেন আওয়ামী লীগের দু’বারের সফল সাধারন সম্পাদক জনাব সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধুই একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি অনুভূতির নাম। আমরা যে যেখানেই আছি, আমরা একটি পরিবারের সদস্য। শেখ হাসিনার দিক নির্দশনায় আমি দায়িত্ব পালন করেছি, এ সময়ে দলে কোনো ভাঙন বা গ্রুপিং হয়নি।’ সত্যিই, আশরাফ সাহেবের বক্তব্য শতভাগ খাঁটি। আওয়ামী লীগের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।