বাফুফের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পর্যবেক্ষণ করতে ফিফা প্রতিনিধিরা এখন ঢাকায়। বাফুফের বিভিন্ন কমিটির সাথে বৈঠকও করেছেন দলটির প্রতিনিধিরা। এছাড়া, তিনটি বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলোয়াড় তৈরিতে বাফুফে’কে সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস মিলেছে তাদের কাছ থেকে। সবকিছু মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিনিধিদের মন্তব্য ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন ফেডারেশন সহ সভাপতি বাদল রায়।
ফেডারেশন ভবনের বাইরে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগানে মুখরিত। যেখানে ফিফা প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষন করে দাবি তোলা হচ্ছে তার নেতৃত্বাধীন কমিটি বাতিলেরও। যদিও অল্প সময় পরেই আন্দোলনকারীদের একজনকেও সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এসব আন্দোলনের মাঝেই ফিফার প্রতিনিধিরা বাফুফের বিভিন্ন কমিটির সাথে বৈঠকে বসেন, ফুটবলের জন্য ফেডারেশনের কার্যক্রম ও পরিকল্পনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে। সব বৈঠকে কমিটিগুলো তাদের কার্যক্রম প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরেন।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রশংসা করেন প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি অনুর্ধ্ব ১২, ১৪, ১৬ ও ১৮ এর দল গঠন, প্রশিক্ষন ও টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
এদিকে, বাংলাদেশের ফুটবলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে ফিফায় রিপোর্ট জমা দেবেন প্রতিনিধিরা। পরে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৬০ দিন পর ফিফা পর্যালোচনা কমিটির দেয়া রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে ফিফার কাছ থেকে প্রতিবছর সাড়ে ৭ লাখ করে ৩ বছরে সাড়ে ২২ লাখ ডলার অনুদান পাওয়ার ব্যাপারটি।
৪ নভেম্বর ঢাকা ছাড়বে ৪ সদস্যের ফিফা প্রতিনিধি দলটি।