ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগে বাঁধা নাই, বরং না করলেই বিপদ। তবে ক্ষমতা প্রয়োগে স্থানীয় নেতা ও প্রশাসন দাম্ভিকতা দেখাচ্ছে, এরা কারা? প্রশাসনে অনেক কর্মকর্তা আছে যারা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট, এরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। শেখ হাসিনা যখন দেশকে উন্নয়ন মহাসড়কে যুক্ত করেছেন তখন কার ইঙ্গিতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি? প্রশাসন নির্বিকার কেন? ভীতি সঞ্চার করা কি প্রশাসনের কাজ?
ক্ষমতা মানুষকে সহনশীল করে, আবার অসহিষ্ণু, দাম্ভিকও করে। যেহেতৃ বাংলাদেশ একুশ বছর পরাজিত শক্তি শাসন করেছে, ফলে একটি দাম্ভিক রাজনৈতিক শক্তি ও প্রশাসন নির্বিঘ্নে সমাজ দেহে বেড়ে উঠেছে। এই শক্তির কাজই হলো রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করা, উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত করা, সরকারের জনবান্ধব কর্মসূচী প্রশ্নবিদ্ধ করা। এদেরকে রাজনীতি ও প্রশাসন থেকে ছেঁটে ফেলার সময় এসেছে।
এখন একাত্তর পূর্ব সময় নয়, আমরাও পাকিস্তানে বাস করি না। এটা ২০১৬ সাল, আর বাস করি স্বাধীন বাংলাদেশে। পাকিস্তানীরা আমাদের যেভাবে শোষন করতো, সে রকম একটি শ্রেনী গড়ে ওঠেছে ১৯৭৫-৯১ সাল পর্যন্ত। তখনকার বই-পুস্তকে এক লাইনও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নাই, বঙ্গবন্ধুর কথা নাই। এই প্রজন্ম বড় হয়েছে সম্পুর্ন পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণায়। বর্তমানে সেই প্রজন্মের যারা উচ্চপদে আসীন এরা এ দেশকে নিজের দেশও ভাবে না।
হ্যা, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কখনো ক্ষমতা প্রদর্শন করতে হয়। ২০০৮ সালে মহাজোট সরকারের দু’টি বড় অঙ্গীকার ছিল, পদ্মাসেতু এবং যুদ্ধাপরাধীর বিচার। পদ্মাসেতুর কাজ করতে গিয়ে সরকার যখন বিশ্বব্যাংকের অনৈতিক বাঁধার সম্মুখীন হয়, তখন শেখ হাসিনা জনগনের ক্ষমতায় বলিয়ান হয়ে বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করেন। তেমনি রাজাকারদের ফাঁসির রায়ও কার্যকর করেন মনের অসীম ক্ষমতাবলে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করেছেন তা ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ। তিনি পারতেন তাঁর বাবার খুনি ও রাজাকারদের যেনতেন বিচার করে সাজা দিতে, তা তিনি করেননি। আইনের সকল প্রক্রিয়া মেনে বিচার সম্পন্ন করেছেন, যা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে। তাহলে ছোটখাটো দলীয় নেতা ও প্রশাসন এতো বেপরোয়া কেন, কার স্বার্থে? এদের বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। জানতে হবে, এরা কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইছে। নইলে এরাই এক সময় বিপদের কারন হয়ে দাড়াবে।।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।