ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারের কারণে দিন দিন অর্থনীতিতে গুরুত্ব বাড়ছে নারায়ণগঞ্জের। রাজস্ব আয়ের পরিমাণও আগের চেয়ে বহুগুণে বেড়েছে ঢাকার কাছের এ বন্দরনগরী থেকে। তবে সে তুলনায় ব্যবসা বান্ধব উন্নয়ন না হওয়ার কারণ দেখিয়ে এবারের সিটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই হিসাব-নিকাশ কষতে চান ব্যবসায়ী সমাজ।
এদিকে ভ্যাট পুনর্নির্ধারণসহ মেয়র প্রার্থীদের কাছ থেকে চান ব্যবসা-বান্ধব নগরী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি।
সকাল থেকে দুপুর কিংবা দুপুর গড়িয়ে বিকেল। নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ঘাটগুলো মুখর থাকে শ্রমিকদের পদচারণায়। পুরো নগরে নির্বাচনী আমেজ থাকলেও তারা ব্যস্ত বিভিন্ন দেশ থেকে আসা জাহাজের পণ্য খালাসে।
বন্দরের ব্যবসায়ীদের দাবি, নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রতিবছর সরকার বিশাল অংকের রাজস্ব আয় করলেও এখনও প্রত্যাশিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয় নি নগরীতে। বিশেষ করে প্রাচ্যের ড্যান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী খনন, পুরনো জেটি মেরামত ও পার্কিং সুবিধা বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ী ভোটারদের।
ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, যে প্রার্থী ভ্যাট পুনর্নির্ধারণসহ শিল্প বিকাশে সহযোগী হবেন তাকেই নারায়ণগঞ্জবাসি মেয়র হিসেবে বেছে নেবেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা প্রার্থীর কাছ থেকে ঐতিহ্যবাহী সুতা শিল্প ও নিতাইগঞ্জের লবণ শিল্প বিকাশে স্থান বরাদ্দেরও প্রতিশ্রুতি চান।
নারায়ণগঞ্জ সিটির প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ ভোটারের অর্ধেকই জড়িত বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে।
রাজধানীর খুব কাছাকাছি হওয়ায় দিন দিন শিল্প নগরী ও বন্দর নগরী হিসেবে গুরুত্ব বাড়ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের। সে কারণে শহরের বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যবসায়ী ভোটারদের সংখ্যা। তাই ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনে এখানকার ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে মনে করছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণরা।