নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে ৬ রানে হারলো অস্ট্রেলিয়া। এতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। অকল্যান্ডের টস হেরে আগে ব্যাটে গিয়ে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ২৮৬ রান। জবাবে ৪৭ ওভারে ২৮০ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। মামুলি এ টার্গেট সামনে নিয়ে শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ৬৭ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। হারের অপেক্ষায় তখন অজিরা। কিন্তু এ সময় দেবদূতের মতো হাজির হন মার্কাস স্টয়নিস। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেই বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন তিনি। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অবিশ্বাস্য একস জয়ের আশা জাগিয়ে তোলেন তিনি। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে শেষ কাজটা তিনি যথাযথভাবে করতে পারেননি। ১১ ছক্কা ও ৯ চারে ১১৭ বলে ১৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি যখন ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন তখন বড় বিপদে অস্ট্রেলিয়া। ৫৪ রানেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। তিনি উইকেটে নামার একটু পড়ে আরেকটি উইকেট। ফিরে যান স্যাম হেজলেট। এমন ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে এক্ইা লড়াই শুরু করেন স্টয়নিস। সপ্তম উইকেটে জেমস ফকনারকে নিয়েগড়েন ৮১ রানের জুটি। এরপর অষ্টম উইকেট প্যাট কামিন্সকে নিয়ে গড়েন ৪৮ রানের। স্টয়নিস এক পাশ আগলে রাখলেও অন্য পাশ থেকে উইকটে পড়তে থাকে। অস্ট্রেলিয়া নবম উইকেট হারায় ২২৬ রানের মাথায়। জয়ের জন্য তখনও তাদের প্রয়োজন ৬০ রান। শেষ উইকেটে এই রান যোগ করা অনেকটা অসম্ভব। কিন্তু জশ হ্যাজেলউডকে নিয়ে সেই অসম্ভবকে প্রায় সম্ভব করে ফেলেন স্টয়লিন। কিন্তু টার্গেটের ৬ রান আগে সঙ্গীহীন হয়ে পড়ের স্টয়লিন। শেষ উইকেট আগের ওভারগুলোর শেষ বলে রান নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখছিলেন স্টয়লিন। ৪৭তম ওভারেও অমন করতে যান তিনি। এবার নিউজিল্যান্ড ফিল্ডিং আঁটসাট করে ফেলে। দুই ব্যাটসম্যানকে চারপাশথেকে আটকে ধরে। স্টয়নিস শেষ বলে রান নিতে গেলেন। কিন্তু দুর্দান্ত গতিতে বল ধরে দারুণ ক্ষীপ্রতায় হ্যাজেলউডের স্টাম্প ভেঙে দেন কেইন উইলিয়ামসন। সঙ্গেসঙ্গে মেষ হয় উত্তেজনাকর এক লড়াইয়ের। ২৬ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হন হ্যাজেলউড। আর ৪৫ রানে তিন উইকেট নেয়ার পর ১৪৬ রানে অপরাজিত থেকে পরাজিত দলে নাম লেখান স্টয়নিস। এতে মনমরা হয়েই ম্যাচসেরার পুরস্কার গ্রহণ করতে হয় তাকে।