আগামীকাল শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। গত পাঁচ বছরে এক ডজনের বেশি নির্বাচন অনুষ্ঠান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, স্মার্ট কার্ড তৈরিসহ নানা ইস্যুতে আলোচিত ছিল কমিশন। তবে কয়েকটি নির্বাচন ছাড়া অন্যগুলোতে অনিয়মের অভিযোগ বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে রকিবউদ্দিনের নেতৃত্বে এই কমিশনকে।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রথম কমিশন। ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন কাজি রকিরউদ্দনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের চার সদস্য। আরেক সদস্য যোগ দেন ১৫ ফেব্রুয়ারি।
দায়িত্ব নেয়ার বছরেই রংপুর নির্বাচন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে কমিশন। পরের বছর রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল এই চার সিটি আর কিছু দিন পর গাজীপুর নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় রকিবউদ্দিন কমিশনের।
জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রার্থিতা বাতিল সংক্রান্ত ৯১ এর ই ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তারা। পরে সরে আসেন সেই সিদ্ধান্ত থেকে।
তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও অস্বস্তিতে পড়ে নির্বাচন কমিশন।
জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলেও উপজেলা নির্বাচনে আসে বিএনপি। ছয় ধাপের প্রথম দুই ধাপ নিয়ে কথা না হলেও প্রশ্ন ওঠে পরের ধাপগুলো নিয়ে।
২০১৫ সালে প্রথমবারের মত দ্বিখণ্ডিত ঢাকা আর চট্টগ্রাম সিটি সিটি নির্বাচনেও ওঠে অনিয়মের অভিযোগ। নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।
১০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অভিযোগের কমতি ছিল না। ছয় ধাপে চার হাজারেরও বেশি ইউপিতে এ নির্বাচনে প্রাণ হারায় শতাধিক। আবার একক প্রার্থী ছিল প্রায় ২২০টি ইউনিয়নে।
২০১৬ এর মার্চে আদালত অবমাননার দায়ে প্রথমবারের মত কোন কমিশনকে আদালতে হাজির হয়ে নি:শর্ত ক্ষমা চাইতে হয়।
তবে সাফল্যের তালিকায় ছিল স্মার্ট কার্ড। ২ অক্টোবর ২০১৬ প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিন বিলুপ্ত ছিট মহলে স্মার্ট কার্ডের আনুষ্ঠানিক বিতরণ শুরু করেন সিইসি। ৩১ অক্টোবর প্রথম ভোট দেয় ২২টি ছিট মহলের বাসিন্দা।
বিদায়ের আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় কিছুটা আশা জাগালেও কদিন পরেই জেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারো বিতর্কের মুখে পরে নির্বাচন কমিশন।