মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে মারা গেছে মা ও মেয়ে। খাগড়াছড়িতে দুই সহোদর। অন্যদিকে রাঙ্গামাটিতে আহত নবী হোসেন গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে জানান, বড়লেখার মধ্য ডিমাই গ্রামে পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে আফিয়া বেগম (৩৬) ও ফাহমিদা বেগম (১৩) নামের মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাহাড় ধসে ঘরের উপর পড়লে তারা মাটি চাপা পড়েন। সকাল সাড়ে ৬টায় এলাকাবাসী খবর পেয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করেন। নিহতরা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্য ডিমাই গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের স্ত্রী ও মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতের টানা বর্ষণ আর আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে তাদের বসত ঘরে টিলা ধসে পড়ে। আফিয়া বেগম ও স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ফাহমিদা বেগম (১৩) মাটি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় এলাকাবাসী নিহত মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেন। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এলাকার অসংখ্য ঘরে পানি প্রবেশ করে। ঝুঁকিতে রয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি।
রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ির রামগড়ে পাহাড়ধসে দুই সহোদর প্রাণ হারিয়েছে। শনিবার রাতে রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ভুদংছড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হল বুদংছড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মোস্তফার দুই পুত্র নুর হোসেন (১৪) ও নুর নবী (১০)। ভোর বেলায় ঘরের উপর পাহাড় ধসে পড়লে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মাটির তৈরি ঘরে ঘুমিয়েছিল তারা। টানা বর্ষণে পাশের পাহাড়ের একাংশ ঘরটির উপর আঁচড়ে পড়ে। এতে দুই ভাই মারা গেলেও ঘরের অপর কক্ষে থাকা পরিবারের অন্যরা অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এলাকার লোকজন এসে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে রামগড় উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আল-মামুন মিয়াসহ উপজেলার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি জানান নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এদিকে রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ শরীফুল ইসলাম দুই সহোদরের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাতাছড়া এলাকায় বজ্রপাতে ফুলরানী চাকমা (৩৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে পাহাড় ধসে আহত নবী হোসেন নামে একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।