২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল। টানা চারটি বছর নিজের ভিন্নধর্মী গানের মাধ্যমে সংগীতাঙ্গন মাতিয়েছেন তিনি। প্রথম অ্যালবাম ‘ফেলে আসা’-এর মাধ্যমে তার অভিষেক হয় পেশাগত শিল্পী হিসেবে। এ অ্যালবামের মাধ্যমে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পেয়ে যান। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অল্প সময়ে অর্জন করেন আকাশছোঁয়া সফলতা, যা খুব কম মানুষের ভাগ্যেই জোটে। পপ তারকা মিলার গানের গল্পটা অনেকটা এরকমই। যেন এক বিস্ময় বালিকা হিসেবেই সংগীতাঙ্গনে তার যাত্রা শুরু। আসলেন, দেখলেন ও জয় করলেন- এমনটাই বলা যায় তার ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রটা। ২০০৭ সালে ‘চ্যাপ্টার-২’ এর ‘বাপুরাম সাপুড়ে’ এবং ‘সুন্দরী কমলা’ গানের মাধ্যমে সর্বাধিক সাফল্য অর্জন করেন তিনি। শুধু গেয়ে নয়, মিউজিক ভিডিওতেও ভিন্নমাত্রা যোগ করেন। প্রতিটি ভিডিওতেই তার পারফরমেন্স দর্শকদের নজর কাড়ে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল ২০০৯ সালে তার প্রকাশিত ‘রিডিফাইন্ড’ অ্যালবাম পর্যন্ত। এই চার বছরে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। কিন্তু ‘রিডিফাইন্ড’-এর পর হঠাৎই নতুন গান প্রকাশ বন্ধ করে দেন তিনি। মিলার মতো একজন শীর্ষ সংগীত তারকার এমন কাজ তার ভক্তরা মেনে নিতে পারেননি। তবে এরপর অনেক বার ঘোষণা দিয়েও আর ফেরা হয়নি তার। মাঝ খান থেকে হারিয়ে যায় ছয়টি বছর। এই সময়ে নতুন কোনো গান সেভাবে প্রকাশ করেননি মিলা। তবে ২০১৫ সালে হঠাৎই ‘নাচো’ শীর্ষক গান প্রকাশের মাধ্যমে নতুন করে ফেরেন তিনি। এত বছর পর ফেরার পরও শ্রোতারা মিলার এ গানটি সাদরে গ্রহণ করেন। এরপর আরো প্রায় দেড় বছরের বিরতি। এরই মধ্যে চলতি বছরের মে মাসে প্রকাশ পায় মিলার বিয়ের খবরও। অনেকেই মনে করেছিলেন রহস্যময়ী মিলা বুঝি এবার আর ফিরছেন না নতুন গানে। এমনটি স্টেজেও হয়তো আগের মতো করে পাওয়া যাবে না নাম্বার ওয়ান এই পারফরর্মারকে। কিন্তু না। তেমনটি হয়নি। এমন কোনো সিদ্ধান্তও নেননি এ সংগীত তারকা। বরং, চলতি বছর থেকেই পাকাপাকিভাবে নিয়মিত কাজ করছেন মিলা। আর তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন পর একটি নতুন চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। এবার বন্ধু ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-কম্পোজার হৃদয় খানের সুর ও সংগীতে কাজ করেছেন মিলা। ছবির নাম ‘মনে রেখো’। এ ছবির ‘বেয়াড়া মন’ শীর্ষক এ গানটি লিখেছেন এস এ হক অলীক। এখন থেকে চলচ্চিত্রের গানে নিয়মিত হবেন বলেও জানিয়েছেন মিলা। তবে সেক্ষেত্রে একটি শর্তও জুড়ে দিয়েছেন। মিলা বলেন, এটাকে শর্ত বললে ভুল হবে। কারণ প্রতিটি শিল্পীরই পছন্দের ব্যাপার আছে। আমিও চাই নিজের পছন্দমতো গান করতে। আর ঠিক করেছি যে চলচ্চিত্রের গান নিয়মিত করবো, তবে সেটা আমার মন পছন্দ হলে। মিলা ভক্তদের জন্য সুখবর হলো শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, অডিও অ্যালবামেও নিয়মিত হচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে বলেন, আমি জানি আমার শ্রোতা-ভক্তদের অনেক অভিযোগ-অভিমান রয়েছে। আমার নতুন গান শুনতে চান সবাই। আমি এখন প্রতিদিনই স্টুডিওতে বসে নতুন গান তৈরি করছি। তবে কথা দিচ্ছি খুব বেশি দেরি করবো না। এবার শিগগির নতুন গান-অ্যালবামসহ নানা চমক নিয়ে শ্রোতাদের মাঝে ফিরবো।