বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির পক্ষ থেকে বয়কট করা হয়েছে চিত্রনায়ক রিয়াজ, খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ও প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুকে। তাদের ছবি আর না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সমিতি। গত ঈদের আগে সেন্সরবোর্ডের প্রবেশপথে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ও সেন্সর বোর্ডের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের উপর হামলার ঘটনা ও বর্তমান সময়ের ছবি মুক্তি নিয়ে আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, আমার ওপর হামলার পর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। কিন্তু কোনো বিচার এখনো পাইনি। তাই গত ৬ই জুলাই সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে অভিনেতা রিয়াজ, মিশা সওদাগর ও প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুকে সিনেমাহলে বয়কট করা হবে। অর্থাৎ রিয়াজ, মিশা সওদাগর অভিনীত ও খোরশেদ আলম খসরু প্রযোজিত কোনো ছবি আমাদের সিনেমা হলে চলবে না। এ বিষয়ে ব্যাপকভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বাস্তবে কার্যকরী করণের জন্য আগামী ২৬শে জুলাই ঢাকায় আমাদের সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকরী করার যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিব। এ সংবাদ সম্মেলনে অরো উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী শোয়েব রশিদ, প্রদর্শক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাসসহ আরো অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, গত ঈদে ‘নবাব’ ও ‘বস টু’ নামে যৌথ প্রযোজনার দুটি ছবির মুক্তিকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্র নির্মাণ সংক্রান্ত কতিপয় সংগঠনের একটি জোট এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। গত দুবছর ঈদে যৌথ প্রযোজনার ছবি খুব ভালো ব্যবসা করা ব্যবসায়িক স্বার্থে সিনেমাহল মালিক এবং তাদের বুকিং এজেন্টরা এবারও ঈদে যৌথ প্রযোজনার দুটি ছবি চালানোর আগ্রহ দেখান এবং ২-৩ মাস আগেই অগ্রিম টাকা প্রদান করেন। এর ফলে আমাদের সমিতি সদস্যদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ছবি দুটির মুক্তির পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু সমিতির সভাপতি ও মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের উপর অভিনেতা রিয়াজ, মিশা সওদাগর, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু এবং তাদের সহযোগিরা হামলা চালানোর পর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সংবাদ সম্মেলন এবং মানববন্ধন করার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র ও তথ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। ঘটনাটি নিয়ে কেনো মামলাও করা যায়নি। প্রকৃতপক্ষে পুলিশ কোনো মামলা নেয়নি। সরকারি কর্তাব্যক্তিদের এ বিষয়ে নীরবতা তাদেরকে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। তবে তথ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোয় সংবাদ সম্মেলনে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতাকর্মীরা।