রায়হান কবির,স্বদেশ নিউজ ২৪.কমঃ বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন রীতি এরআগে কখনো দেখা যায়নি। বিশেষ কারণ ছাড়া ফিট থেকেও বিশ্রামের দোহাই দিয়ে কোনো ক্রিকেটারকে বিরতি নিতে দেখা যায়নি। তবে ভারতের ক্রিকেটে এটা অহরহ ব্যাপার। টানা ক্রিকেট খেলার কারণে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজাদের এমনিতেই বিশ্রাম দেওয়া হয়। যদিও সাকিব আল হাসানকে চেয়ে নিতে হয়েছে এই বিশ্রাম।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশের টেস্ট দলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার থাকছেন না। গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজে তাকে ছাড়াই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে লড়তে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু সাকিব নেই, এটা ভাবতেই অনেকে যেন খেই হারাচ্ছেন। এমন সময়ে বিরতি নেওয়ার কারণে সাকিবকে নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। অনেকে বলছে সাকিবের অভাব টের পাবে বাংলাদেশ দল।
তবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে এটাই একটা মোটিভেশন। সাকিব না থাকায় অন্য ক্রিকেটারদের মধ্যে ঘাটতি পূরণের একটা চেষ্টা থাকবে। প্রধান নির্বাচকের ভাষায় বিষয়টা এমন দাঁড়ায় যে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিবের অভাব বুঝতে হবে না বাংলাদেশকে।
সাকিবের অভাবটা মোটিভেশন হিসেবে কাজ করতে পারে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার মিরপুরে নান্নু বলেন, ‘অবশ্যই কাজ করবে। যদি কোন জায়গায় গ্যাপ থাকে, খেলোয়াড়দের মধ্যে এ মোটিভেশনটা অবশ্যই আসবে যে ওই ঘাটতি যেন পুষিয়ে নিতে পারি। সে হিসেবে মনে করি খেলোয়াড়রা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ভাল ক্রিকেট খেলার জন্য তারা মুখিয়ে আছে।’
শোনা যাচ্ছে সাকিবের পর তামিম ইকবালও নাকি বিশ্রাম নিতে চান। তবে টেস্ট নয়, ওয়ানডে থেকে বিশ্রাম চান বাংলাদেশ ওপেনার। যদিও এ ব্যাপারটি এখনো গুঞ্জনের পর্যায়ে আছে। এ বিষয়ে নান্নু কিছুই জানেন না। বলছেন, ‘এ বিষয়ে কোন ধারণা নেই। আমরা যে দল নির্বাচন করেছি সে দল পুরো সফরের জন্য যাচ্ছে। তামিম আমাদের এরকম কিছু বলেনি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সব সময়ই পেসারদের জন্য স্বর্গরাজ্য। তাই বাংলাদেশ দলের পেসারদের জন্য সুযোগ দেখছেন নান্নু, ‘সবার জন্য সুযোগ আছে। যে পাঁচজন ফাস্ট বোলার আছে তাদের জন্য যথেষ্ট সুযোগ আছে ভালভাবে পারফর্ম করার। যে যখন সুযোগ পাবে তখন তাকে সুযোগটি ভালভাবে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের পেসরারা এখন যথেষ্ট পরিণত। তারা ভাল করতে পারবে।’