ঝড় নেট-এর আঘাতে কমপক্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে মধ্য আমেরিকা অঞ্চলে। কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া ও হন্ডুরাসে এসব প্রাণহানি ঘটেছে। মধ্য আমেরিকায় তা-ব চালানোর পর ঝড়টি অগ্রসর হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। বিবিসির খবরে বলা হয়, মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ২০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছে। তীব্র ঝড় ও ভারী বর্ষণের ফলে ভুমিধস ও বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রাস্তাঘাট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভেঙে গেছে অনেক সেতু। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বসতবাড়ি। কোস্টারিকায় আনুমানিক ৪ লাখ মানুষ বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটে দিনাতিপাত করছে। হাজারো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করছে। দেশটিতে কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ঝড়ে। আর নিকারাগুয়ায় প্রাণহানি হয়েছে আরো ১১ জনের। ওদিকে, হন্ডুরাসে মারা গেছেন ৩ জন। সেখানে অনেকে নিখোঁজ বলে জানা গেছে। ওদিকে, এল সালভেদরে একজন মারা গেছে বলে খবর আসছে।
কোস্টারিকায় সকল রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বাতিল করা হয় কয়েক ডজন ফ্লাইট।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে ঝড়টি আরো তীব্র আকার ধারণ করে ক্যাটাগরি ১ হারিকেনে পরিণত হতে পারে। রোববার যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলে তা আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। ফ্লোরিডা থেকে টেক্সাস পর্যন্ত নিবাসীদের ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। যদি তা যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানে তাহলে তা হবে এ বছর দেশটিতে হওয়া তৃতীয় বড় ধরণের ঝড়। প্রসঙ্গত, টেক্সাস ও ফ্লোরিডা উভয় অঙ্গরাজ্য এখনও হারিকেন হার্ভি ও ইর্মার তা-ব কাটিয়ে উঠছে।