গত মাসেই বাবাকে হারিয়েছেন চলতি সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান। তাই বেশ কিছুদিন শোকের মধ্যেই দিনযাপন করেছেন এ শিল্পী। সব কাজ থেকে বিরতিতে থেকেছেন। তবে জীবন তো আর থেমে থাকে না। তাছাড়া বড় ছেলে হওয়ার কারণে এখন তার কাঁধেই পরিবারের সব দায়িত্ব। জীবনের নিয়মে তাই আবারও ব্যস্ত হয়েছেন ইমরান। সম্প্রতি চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে সেরা প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূর্ণিমার সঙ্গে পারফর্মও করেছেন এ তারকা। মজার ব্যাপার ইমরানের জনপ্রিয় গান ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ নিজ কণ্ঠে তুলেছেন পূূর্ণিমা। আর সেই গানে ইমরানের সঙ্গে পারফর্ম করেছেন তিনি। এই পারফরমেন্স ব্যাপকভাবে প্রশংসিতও হয়েছে। এদিকে নতুন গানেও ব্যস্ত হয়েছেন ইমরান। সম্প্রতি ‘শ্রেষ্ঠ স্বামী’ চলচ্চিত্রে গেয়েছেন তিনি। এ মিজানের কথায় এ গানটির সুর ও সংগীত করেছেন আলী আকরাম শুভ। আর গানটিতে ইমরানের সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন ন্যান্সি। এছাড়া আরও একটি ছবির গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। এদিকে ইমরান ও কনার গাওয়া ‘দিল দিল দিল’ গানটি সম্প্রতি ইউটিউবে দুই কোটির ঘর স্পর্শ করেছে। এটিই বাংলা কোনো গানের দুই কোটি দর্শক উপভোগের রেকর্ড। গেল ঈদে ইমরানের ‘ঠিক বেঠিক’ ও ‘তোর এক ইশারায়’ গান দুটির মিউজিক ভিডিও পছন্দ করেছেন দর্শক। তারই ধারাবাহিকতায় ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে খুব শিগগিরই এ শিল্পীর নতুন গান ভিডিওসহ প্রকাশ পেতে যাচ্ছে। অন্যদিকে লেজারভিশনের ব্যানারে প্রকাশ হতে যাচ্ছে ইমরান ও বৃষ্টির দ্বৈত গান ‘যদি হাতটা ধরো’র ভিডিও। সৈকত রেজার পরিচালনায় এ গানটির ভিডিওতে ইমরান ও বৃষ্টির বাবা-মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা কাজী হায়াৎ ও অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনাকে। এর বাইরে আসছে নতুন ইংরেজি বছর উপলক্ষেও বেশ কিছু গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রোতাদের ভালোবাসায় আমি আজকের ইমরান হয়েছি। সঙ্গে ছিল বাবা-মায়ের দোয়া। না হলে এ পর্যায়ে আসা সম্ভব ছিল না। সামনে বেশ কিছু গানের অডিও এবং ভিডিও প্রকাশ হবে আমার। এর মধ্যে বেশ কিছু চমকও থাকবে। বরাবরের মতো এ গানগুলোও সবার ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস। বর্তমানে সংগীত ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? ইমরান বলেন, বেশ ভালো। যে যার মতো করে ভালো কাজ করার চেষ্টা করছেন। অডিও কোম্পানিগুলোও যথেষ্ট সহযোগিতা করছে এখন। সবাই ডিজিটালি গান প্রকাশনার বিষয়টি আরও ভালোভাবে করার চেষ্টা করছেন। আমার মনে হয় ডিজিটালি গান প্রকাশের বিষয়টি যখন পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়ে যাবে তখন গানের অবস্থা আরও ভালো হবে। আর নতুন নতুন প্রতিভাকে সুযোগ দিতে হবে। আমাদের দেশে সংগীতের অনেক প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু তারা সুযোগের অভাবে কাজ করতে পারছে না। তাদেরকে সামনে আনতে হবে। এক্ষেত্রে অডিও কোম্পানিগুলো বড় ভূমিকা রাখতে পারে। অনেকেই বলছেন এ সময়ের গান দীর্ঘ দিন টিকে থাকার মতো নয়। এ বিষয়ে একজন তরুণ শিল্পী-সংগীত পরিচালক হিসেবে আপনার অভিমত কি? ইমরান বলেন, সেটাতো সময়ের উপর নির্ভর করবে। একটি গানকে সময় দিতে হবে। কারণ এখন যে গানগুলো হচ্ছে সেগুলো টিকবে কিনা সেটা এখনইতো বলা যাবে না। সময়ের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। এখন ভালো ও খারাপ সব ধরনের গানই হচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি টিকে থাকবে ভালো কথা-সুরের গানগুলোই। কারণ ভালো কথা ও সুরের কোন বিকল্প নেই।