যশোরের বেনাপোল থেকে ভারত যাওয়ার সময় জুতার ভেতরে লুকানো ৭টি স্বর্ণের বারসহ মো. মিজানুর রহমান ও মাহবুবুল আলম নামের দুই যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। আজ সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আটক স্বর্ণের পরিমাণ ৭০০ গ্রাম। এর বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। আটক মো. মিজানুর রহমান (৪২) ঢাকার কদমতলী এলাকার মো. আব্দুল মান্নানের পুত্র। পাসপোর্ট নম্বর- ইগ ০৯০০২৬৯। তিনি গত নয় মাসে ২০ বার ভারতে আসা যাওয়া করেছেন। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর জানান, তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী। ঢাকার স্টেডিয়াম মার্কেটে তার দোকান রয়েছে। তার জুতার তলায় বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় ৩টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। মিজানুরের সঙ্গে থাকা মাহবুবুল আলম নামের অপর একজন যাত্রীকে সনাক্ত করে তার দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের মধ্য হতে ১টি এবং জুতার তলায় বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় আরও ৩টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। আটক যাত্রী মাহবুবুল আলম (৩৭) কুমিল্লার চান্দিনার হাজী আব্দুল মান্নানের পুত্র। পাসপোর্ট নম্বর- ইগ ০৩৩০৩৫৪। তার পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনিও এ বছরে ১৪ বার ভারতে আসা যাওয়া করেছেন। পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী এই ব্যক্তি জানান, কুমিল্লার চান্দিনায় তার দোকান রয়েছে। আটককৃত স্বর্ণ কলকাতার বড়বাজারে বিক্রির জন্য তারা নিয়ে যাচ্ছিলেন। বেনাপোল বন্দরের আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন চেকিং অতিক্রমের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই যাত্রীদের সনাক্ত ও তল্লাশী করে শুল্ক গোয়েন্দা। এর আগে গতকালও ভারত যাওয়ার সময় দুইজন যাত্রীর কাছ থেকে শুল্ক গোয়েন্দারা ৮ টি স্বর্ণবার আটক করে। চোরাচালানের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত যাত্রীদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হবে এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ণবার বেনাপোল কাস্টমস গুদামে জমা দেয়া হবে।