বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) পর্দা উঠবে ৪ঠা নভেম্বর। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্সের প্রতিপক্ষ ঢাকা ডায়নামাইটস। ঢাকার হয়ে প্রথম ম্যাচ থেকেই মাঠে ফিরছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। চোখের সমস্যা কাটিয়ে মোসাদ্দেক এখন পুরোপুরি সুস্থ। গতকাল ঢাকার সঙ্গে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। অনুশীলনে ফিরেই দলকে শিরোপা জিতিয়ে জাতীয় দলে ফেরার প্রত্যয় এই ক্রিকেটারের কণ্ঠে।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর মাঠে ফেরা হয়নি মোসাদ্দেকের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। কিন্তু চোখের কর্নিয়ার সমস্যায় ছিটকে যান তরুণ এই অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে পারেননি। ধারণা করা হচ্ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকবেন। কিন্তু একই কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও যাওয়া হয়নি মোসাদ্দেকের। উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয় তাকে। থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার পর পুরো এক মাস বিশ্রামে ছিলেন, পাশাপাশি চলেছে চোখের চিকিৎসা। গত ১০-১৫ দিন ধরে হালকা অনুশীলন করছেন। গতকাল থেকে অনুশীলন করেছেন পুরোদমে। মিরপুরে অনুশীলনে ফাঁকে এই ক্রিকেটার বলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকেই মাঠের বাইরে। আমার মূল চ্যালেঞ্জ ছন্দ ফিরে পাওয়া। যে ফর্মে থেকে শেষ করেছিলাম সেখান থেকেই শুরু করতে চাই। গত বিপিএলে যেখানে শেষ করেছিলাম সেখান থেকেই শুরু করতে চাই।’ ্ইনজুরির সময়টা কিভাবে কেটেছে জানতে চাইলে মোসাদ্দেক বলেন, এটা প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য কষ্টের একটা সময় যায়। টিভিতে বসে খেলা দেখছি আমার কাছে অনেক কষ্টের ছিল। কত তাড়াতাড়ি ফিরবো, কবে দলে যোগ দেবো, কোনো একটা টুর্নামেন্ট দিয়ে ফিরবো এই তাড়াটা খুব অনুভব করেছি। বিপিএল দিয়ে ফেরাটা আমার একটা বড় সুযোগ। খুব দ্রুত ফেরার সুযোগ পেয়েছি। সামনে আবার জাতীয় দলের হোম সিরিজও আছে। বিপিএলটা যদি ভালো যায় আবার জাতীয় দলে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।’ ‘নিজেই চাচ্ছিলাম না চিকিৎসকের ছাড়পত্র ছাড়া মাঠে নামতে। তারা যখন বলেছেন আমি খেলতে পারবো তার পর থেকেই মাঠে নেমেছি। তার আগে নামিনি’-যোগ করেন তিনি। বিপিএলএ তার দল ঢাকা ডায়নামাইটসকে শক্তিশালী উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে দল হিসেবে খেলা। কাগজে-কলমে আমরা ভারসাম্যপূর্ণ দল। আগে দলের পারফরম্যান্স, তারপর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। গতবারও জানতাম আমরা ভালো দল। আমাদের ওপর কোনো চাপ ছিল না। বরং অনুপ্রেরণা ছিল খেলোয়াড়েরা যারা আমাদের দলে খেলেছে। এবারো তারা আছে। স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড়েরা যদি এক সঙ্গে সাপোর্ট দিতে পারে তবে এবারো আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো।’ বিপিএলে গত আসরে মোসাদ্দেকের সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ শহীদ ও মেহেদী মারুফ। গত মৌসুমে ঢাকাকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন এই তিন ক্রিকেটার। ১৩ ইনিংসে ৩০৪ রান করেছিলেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান।