বাহুবলে মাধ্যমিক স্তরের নতুন বই পাচারকালে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারীসহ ৬ জনকে হাতেনাতে আটক করেছে জনতা। পাচার কাজে ব্যবহৃত ট্রাকসহ আটককৃতদের বাহুবল থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলা সদরস্থ ডিএনআই মডেল হাই স্কুলস্থ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অস্থায়ী গুদামে।
আটককৃতরা হলো- বাহুবল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক মনিরুজ্জামান (৪০), একই অফিসের নাইট গার্ড আব্দুল হান্নান (৫০), বই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার চৌবাড়িয়া গ্রামের হারিছ মিয়ার পুত্র আইয়ূব আলী (৪২), মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত হাসমত আলীর ছেলে ট্রাক চালক মফিদুল ইসলাম (৪৫), ঢাকা যাত্রাবাড়ি এলাকার মৃত জলিল হোসেনের পুত্র ট্রাক হেলপার রমজান হোসেন (২২) ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা উপজেলার বেগমপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের পুত্র ট্রাক হেলপার মোবারক হোসেন (১৭)। পাচারকারী চক্রের মূলহোতা টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার চলিমাবাদ গ্রামের মুজিবুর মিয়ার পুত্র কামরুল হোসেন মেঝু (৪৭) পালিয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, মাধ্যমিক স্তরের সরকারি বই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি কামরুল হোসেন মেঝু ও আইয়ূব আলী সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বই সরবরাহ করতে আসে। গত বুধবার ওই দু’ব্যক্তি এবং বাহুবল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী মনিরুজ্জামান ও আব্দুল হান্নান স্থানীয় চলিতাতলা পয়েন্ট থেকে চালক মফিদুল ইসলামের নম্বরবিহিন একটি ট্রাক ভাড়া করে। বুধবার সন্ধ্যায় উক্ত ট্রাকে উল্লেখিত ব্যক্তিরা স্থানীয় ডিএনআই মডেল হাই স্কুলে স্থাপিত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অস্থায়ী গোদাম থেকে সরকারি মাধ্যমিক স্তরের (স্কুল ও মাদরাসা) নতুন পাঠ্য বই লোড করতে থাকে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দের নজরে এলে তারা তাদের চ্যালেঞ্জ করেন। উপস্থিত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী ও পাঠ্য বই লোডের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কথাবার্তা সন্ধেহজনক মনে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জসীম উদ্দিন ও বাহুবল মডেল থানার ইনস্পেক্টর (তদন্ত) গোলাম দস্তগীরকে খবর দেয়া হয়। এক পর্যায়ে উল্লেখিত পাচারকারীদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
গতকাল বুধবার সকালে জেলা শিক্ষা অফিসার অনিল কৃষ্ণ মজুমদার ঘটনাস্থলে এসে গোদামে রক্ষিত পুস্তক গণনা শুরু করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুস্তক গণনার কাজ চলছিল।
বাহুবল মডেল থানার ইনস্পেক্টর (তদন্ত) গোলাম দস্তগীর বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার ছুটিতে ছিলেন। তিনি আসছেন। তিনি আসার পর এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হবে।