ভারতের বিরুদ্ধে ভিসা নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ পাকিস্তানের। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাই ইসলামাদের ‘ঠাণ্ডা মাথায় রাজনীতিকীকরণের অভিযোগের’ জবাব দিলেন। পাকিস্তান বলেছে, ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানি নাগরিকদের মেডিক্যাল ভিসা দিচ্ছে না। এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখা হয় নি। তিনি গত সপ্তাহেও ১২ জন পাকিস্তানি নাগরিককে ভিসা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, আরো একজন পাকিস্তানি কিশোরী এবং অন্য দুটি বাচ্চাকে ভারতের মেডিক্যাল ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানি নাগরিক সহাইল আরাবি কিছুদিন পূর্বে তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে হাদিয়ার জন্যে ভারতের মেডিক্যাল ভিসার আবেদন করেন। মেয়েটির অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তার যকৃত প্রতিস্থাপন করা অত্যন্ত জরুরী। উন্নত চিকিৎসার জন্যে মেয়েটির ভারতে আসা প্রয়োজন ছিলো। এ প্রসঙ্গে এক টুইটে সুষমা জানান, পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতের হাই কমিশন জরুরিভিত্তিতে মেয়েটিকে ভিসা দেবে। আরেকজন পাকিস্তানি নাগরিক মাসরুর আক্তার সিদ্দিকী তার তিন বছরের শিশু মোহাম্মদ শাফায় এর ওপেন হার্ট সার্জারির জন্যে ভারতের মেডিক্যাল ভিসা চেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিশুটিকে ভিসা দেয়া হচ্ছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, মোহাম্মদ শাফায় একজন নিরপরাধ শিশু। তার ওপেন হার্ট সার্জারির জন্যে ভারত মেডিক্যাল ভিসা নিশ্চিত করবে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী টুইট করে আরো জানিয়েছেন, ৯ বছর বয়সী পাকিস্তানি শিশু আব্দুর রহমানকে মেরুদ-ের মজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্যে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। গত সপ্তাহে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জন্য পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগ আনে। তারা বলে, পাকিস্তানি নাগরিকদের মেডিক্যাল ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে ভারত। এক্ষেত্রে তারা খেয়ালখুশি মতো ভিসা দিচ্ছে। ভারতের এ ধরণের কর্মকা-কে অমানবিক উল্লেখ করে পাকিস্তান। অন্যদিকে, ২৫শে নভেম্বর পাকিস্তানি নাগরিক শাহজাইব ইকবাল তার চাচাতো ভাইয়ের জন্যে ভারতের মেডিক্যাল ভিসা চেয়ে সুষমা স্বরাজের প্রতি টুইট করেন। সেখানে তিনি মানবিক আবেদন জানিয়ে বলেন, আপনিই এখন আমাদের একমাত্র আশা। তাকে নিরাশ করেন নি সুষমা। ভারতের বিজয় দিবসে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, চিকিৎসা সেবার জন্যে ভারতে আসা প্রয়োজন- এমন সব পাকিস্তানি নাগরিকদের মেডিক্যাল ভিসা দেবে ভারত। কিছুদিন পূর্বে পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যকার এক চুক্তি সমন্বয়ের সময় ভারত জানায়, এখন থেকে কেবলমাত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারতাজ আজিজের সুপারিশ ছাড়া কোন নাগরিককে ভারতের মেডিক্যাল ভিসা দেয়া হবে না। এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে পাকিস্তান। তবে, ১৫ই আগস্ট থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের চিকিৎসা ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে না ভারত।