রায়হান কবির, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: ২০১৪ সালে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন চান্দিকা হাতুরুসিংহে। এরপর প্রায় সাড়ে তিন বছরের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে ছিলেন এই লঙ্কান কোচ। এসময় বাংলাদেশের ক্রিকেটকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। বাংলাদেশের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গাগুলো তার অজানা নয়। বাংলাদেশের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে এটুকুই যথেষ্ঠ। কিন্তু ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে এই লঙ্কান কোচকে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখতে নারাজ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে নিজ দেশের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন হাতুরুসিংহে। আগামী জানুয়ারিতে সেই বাংলাদেশের বিপক্ষেই ত্রিদেশীয় ও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে লঙ্কান শিবিরে দেখা যাবে তাকে। অনেকের ধারণা, দুটি সিরিজেই বাংলাদেশের অদৃশ্য ‘প্রতিপক্ষ’ হয়ে উঠতে পারেন এই লঙ্কান কোচ। কিন্তু এসব নিয়ে না ভেবে নিজেদের সেরাটা দিতে চান মাহমুদউল্লাহ।

ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে চলমান অনুশীলন ক্যাম্পের দ্বিতীয়দিন শেষ ডানহাতি এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমার মনে হয় না ওই ধরণের প্রতিবন্ধকতা হবে। এমনকি আমরা তাকে নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি, এমনটাও নয়। কিন্তু আমরা যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের স্কিলগুলো মাঠে প্রয়োগ করতে পারি, আশা করছি ফলাফল হয়তো আমাদের পক্ষেই থাকবে। আমরা গত কয়েক বছর ধরে যেটা খেলে আসছি, ভীতিহীন ও ইতিবাচক ক্রিকেট তেমন ক্রিকেটই খেলব।’

মাঠের পারফরম্যান্সে নজর মাহমুদউল্লাহর। নতুন বছরের শুরুটা ভাল চান উল্লেখ করে টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক বলেন, ‘নতুন বছরে নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা সবাই ইতিমধ্যেই অনুশীলন শুরু করেছি। সবাই যে যার মতো কাজ করেছে। কোচিং ম্যানেজমেন্ট যারা আছে তারাও বলছে যে, এই সিরিজটা আমাদের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভাল হওয়া দরকার। সেটার জন্যই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ম্যাচ এলে দেখা যাবে আমরা কত প্রতিফলন ঘটাতে পারি।’

দুদিন আগে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছিলেন, ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে কোচ ছাড়া খেলতেও সমস্যা নেই তার। এক্ষেত্রে ডানহাতি এই অলরাউন্ডাকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে নিজেদের হোম কন্ডিশন। বলেন, ‘আপনি যদি আপনার হোম কন্ডিশনে খেলেন, এটা একটা বাড়তি সুবিধা। প্রত্যেক দলই কন্ডিশন ব্যবহার করতে জানে। আপনি যদি বিশ্ব ক্রিকেটের দিকে খেয়াল করেন দেখবেন সবাই তাদের কন্ডিশনে অনেক ভাল দল। আমরাও আমাদের কন্ডিশনে ভাল একটি দল হয়ে উঠছি। আমার মনে হয় এটা কমবেশি সব প্রতিপক্ষই জানে। এটা একটি বাড়তি সুবিধা। কিন্তু তারপরও আমাদের ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে।’