২৫ সাল ধরে ভারত কেন হিসাব মেলাতে পারেনি? কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন সব সময়ই পরীক্ষা নিয়েছে। কিন্তু সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের উইকেট দেখে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠছে। কাল মরনে মরকেল তো বলেই দিলেন, সাধারণত এই উইকেটে বরাবরই পেসাররা সহযোগিতা পেয়ে এসেছে। কিন্তু এই টেস্টে বল করতে গিয়ে মনে হচ্ছে, এটা নাকি ভারতীয় উইকেটের মতো। ফলে পেসারদের ঘাম ছুটছে বেশি।
এখানেই ক্যারিয়ার শুরু করা মরকেল বলেছেন, ‘সারা জীবন এখানেই ক্রিকেট খেলেছি, কিন্তু সুপারস্পোর্ট পার্কের এই উইকেটের মতো উইকেট আগে কখনো দেখিনি। এখানে সত্যিই বল করা কঠিন হয়েছে যাচ্ছে। গরম আর কন্ডিশন মিলিয়ে আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন স্পেলগুলো এখানেই করলাম। আগে কখনো শোনা যায়নি যে এখানে প্রথম দিন স্পিনাররা ভালো করেছে। আমরা তো ইনিংসের শুরুটাই করলাম স্পিনার দিয়ে, লাঞ্চের আগের ওই ওভারটায়। উইকেট অনেকটা ভারতীয় উপমহাদেশের মতো। এখানে রান করা কঠিন, ব্যাটসম্যানকে আউট করাও কঠিন। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা যে রকমটা চাই, এটা অবশ্যই সে রকম নয়।’
প্রথম টেস্টে ভারতকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা কেন এমন উইকেট বানাল, এ নিয়ে শুরু থেকেই একটা আলোচনা চলছিল। সবুজের বদলে বাদামি উইকেট নিয়ে হাজির হয়েছে প্রোটিয়ারা। অথচ এই টেস্টে ভারতকে হারালে সিরিজ এখানেই নিশ্চিত হয়ে যেত। অথচ এই টেস্টে অবশ্য এখন সফরকারীরাই সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৩ রান তুলেতে ৫ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লিড ১৯১ রানের। চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির এখনো আধঘণ্টার মতো বাকি। এই টেস্টটা নিজেদের নাগালে রাখতে আরও ৬০-৭০ রানের মতো যোগ করতে চাইবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
‘ভারতীয় উইকেটে’ দক্ষিণ আফ্রিকাকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন বিরাট কোহলি। প্রথম টেস্টে ব্যর্থ কোহলিকে এই টেস্টেও ভেতরে ঢোকা বল দিয়ে ঠেসে ধরতে চেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। কিন্তু উইকেটে বাড়তি পেস না থাকায় কোহলিই উল্টো পেয়ে বসেন। ১৫৩ রানের ইনিংস খেলে প্রায় একাই দক্ষিণ আফ্রিকার লিডের আকার ২৮ রানে নামিয়ে এনেছেন।
মরকেল এখানেও উইকেটের দায় দেখছেন, ‘আমাদের হাতে কিছু অস্ত্র ছিল। কিন্তু উইকেট যদি ধীর হয়, তাতে বল করাটা কঠিন। ওর মাপের একজন ব্যাটসম্যান যদি মানিয়ে নেওয়ার মতো সময় পায়, তাহলে সমস্যা।’