দক্ষিণ আফ্রিকায় মুক্তিপণ দিয়েও বাঁচানো যায় নি এক বাংলাদেশীকে (৩৪)। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ নিয়ে তাকে হত্যা করেছে। ওই বাংলাদেশীর নাম, ঠিাকানা জানা যায় নি। এ খবর দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদভিত্তিক অনলাইন টাইমস লাইভ। এতে বলা হয়েছে, গত ১১ই জানুয়ারি অপহরণ করা হয় ওই বাংলাদেশীকে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্রাইবার্গের কাছে সেতলাগোলে থেকে তাকে অপহরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার সাবাতা মোকগাওয়াবোনে। তিনি বলেছেন, নিহত ওই বাংলাদেশী একটি দোকানে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার গাড়ির ভিতরে পিছন দিকে লুকিয়ে থাকা অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং তাকে অপহরণ করে। এটা বুঝতে পেরে ওই দোকানদার পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ একশনে নামে। দোকানী পুলিশকে যেটুকু তথ্য দেন তার ওপর ভিত্তি করে মাঠে নামে পুলিশ। তবে নিহতের আত্মীয়স্বজন বা তার বন্ধুদের কারো কাছ থেকে পুলিশ সহায়তা পায় নি। এরই মধ্যে অপহরণকারীরা ওই বাংলাদেশীর মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। তখনও পুলিশে এ বিষয়টি অবহিত করেন নি তারা। ওই মুক্তিপণ দিয়ে তারা তাকে মুক্ত করার চেষ্টা করেন। দেয়া হয়ে যায় মুক্তিপণের টাকা। এরপর ওই বাংলাদেশীকে মাহিকেংয়ে একটি ফিলিং স্টেশনে পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় অপহরণকারীরা। আত্মীয়-স্বজনরা সেখানে যান তার সন্ধানে। কিন্তু তাকে সেখানে পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন। একটি অপহরণ মামলা করেন। পুলিশ বলেছে, এরপরই কে৯ ইউনিট সহ তাদের দল অভিযানে নামে। ১২ই জানুয়ারি সেতলাগোলেতে একটি ঘন জঙ্গলের কাছে নিজের গাড়ির ভিতর ওই বাংলাদেশীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ বলেছে, এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় নি।