গো (গরু) রক্ষার নামে মানুষ হত্যা ও মানুষকে অপদস্ত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ প্রেসিডেন্ট মাওলানা আরশাদ মাদানি। এ জন্য তিনি মানুষের জীবন রক্ষার জন্য গরু রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। দাবি তুলেছেন ভারতে গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা দেয়ার। তার মতে, এটা করা হলে মানুষের পাশাপাশি গরুর জীবনও রক্ষা পাবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিনিউজ। এতে বলা হয়েছে, মাওলানা আরশাদ মাদানি উত্তর প্রদেশের শাহারানপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মঙ্গলবার।এ সময় তিনি বলেন, একটি জিনিস করুন। গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করে একটি আইন করুন। এভাবেই গরু ও মানুষের জীবনকে নিরাপদ রাখা যাবে। দেশের জন্যও তা উপকারী হবে। গরুর ওপর নজরদারির নামে ভারতের বিভিন্ন স্থানে যে সহিংসতা হয়েছে বা হচ্ছে তা নিয়ে ভারতজুড়ে বিতর্ক হচ্ছে। এরই মধ্যে এমন পরামর্শ তুলে ধরলেন মাওলানা আরশাদ মাদানি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গরু চলাচল বা স্থানান্তরের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য রায় দিয়েছিল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ অনুসরণ করছে না তিনটি রাজ্য সরকার। এগুলো হলো উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান ও হরিয়ানা। ফলে এই তিনটি রাজ্যের কাছে জানুয়ারি মাসেই উত্তর চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর গরু স্থানান্তরের বিরুদ্ধে নজরদারি বন্ধ করতে রায় দেয় আদালত। এতে গরু রক্ষার নামে সহিংসতা বন্ধের জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সেই রায় মানছে না ওই তিনটি রাজ্য। এমন অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন মহাত্মা গান্ধীর পৌপ্রৌত্র তুষার গান্ধী। বিষয়টি আমলে নেন প্রধান বিচারপতি দিপক মিশ্র, বিচারপতি এএম খানবিলকার ও ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। এই বেঞ্চ থেকেই ওই তিনটি রাজ্যকে আগামী ৩রা এপ্রিলের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তুষার গান্ধীর পক্ষ নিয়ে সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জৈসিং বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন অংশে সহিংসতা প্রত্যক্ষা করা যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ বলেছেন, তারা এর আগে তুষার গান্ধীর দাখিল করা মূল রিটের সঙ্গে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি করবেন।