আমির খান অভিনীত ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ ছবিটি এ পর্যন্ত চীনে ৯০০ কোটি টাকা ব্যবসা করেছে। এর আগে আমির খানের দঙ্গল ছবিটি ২ হাজার কোটির ক্লাবে নাম লিখেছিল। সাতশো কোটি ছুঁয়েছে পিকে। এবার সেই কাতারে এসে দাঁড়ালো ‘সিক্রেট সুপারস্টার’।

‘সিক্রেট সুপারস্টার’ ভারতে (৬৩.৪০ কোটি রুপি) তেমন ভাল ব্যবসা করতে না পারলেও, চীনে ব্যবসার নিরিখে ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারতে সমসাময়িক ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘পদ্মাবত’-কেও। অনেকদিন আগেই চীনে রিলিজ হয়েছিল ‘সিক্রেট সুপারস্টার’। সবাই ভেবেছিল ১০০ কোটির পর আর বেশিদূর এগোতে পারবে না এই ছবি।

কিন্তু সবার সব অনুমানকে মিথ্যে করে এবার ৯০০ কোটি টাকার ব্যবসা করল ‘সিক্রেট সুপারস্টার’। আর সেই খবর শোনা মাত্র আনন্দে আত্মহারা হয়ে আমির ঠিক করে ফেলেছেন আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি সকলের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিবেন। আর এজন্য একটা বিশেষ পার্টির আয়োজন করেছেন তিনি।

আমির খান বলেছেন, চীনে গিয়ে আমি দেখেছি ওখানকার লোকজন আমাকে ভীষণ ভালবাসে। এর আগেও ‘পিকে’ এবং ‘দঙ্গল’ ওখানে খুব ভাল ব্যবসা করেছে। কিন্তু তাই বলে ‘সিক্রেট সুপারস্টার’-ও যে এত ভাল ব্যবসা করবে এটা আমার কল্পনারও বাইরে ছিল।

এ প্রসঙ্গে আমির খান আরো বলেন, দর্শকরা যে আমার ছবিটা দেখছে এবং তাদের ভালও লাগছে এটাই আমার কাছে বিরাট ব্যাপার। আমি ওখানকার সবাইকে আমার তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

এর আগে মাত্র দুটি ভারতীয় সিনেমা ১০০০ কোটি রুপির আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দঙ্গল (২০১৬, আয়- ২১১২ রুপি) আর বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন (২০১৭, আয়-১৭০৭ রুপি)। এবার সিক্রেট সুপার স্টারও সেই পথেই হাঁটছে।

২০১৪ সালে আমির খানের আরেক ছবি ‘পিকে’ আয় করেছিল ৭১৪ কোটি রুপি। এতো বেশি আয়ের প্রথম ভারতীয় সিনেমাও ছিল সেটিই।

আমির খান প্রোডাকশনের সিনেমা সিক্রেট সুপারস্টার মাত্র ১৫ কোটি টাকার বাজেটে তৈরি করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সিনেমাটি চীনে অসম্ভব সাড়া ফেলে দিয়েছে। সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন জায়রা ওয়াসিম ও সহযোগী চরিত্রে রয়েছেন আমির খান।