১৫ জনকে নিয়ে দল গঠনের কথা থাকলেও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তায় বিকল্প হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজকেও দলে রেখেছে বোর্ড। তবে কিছুটা গুঞ্জন উঠেছে তাসকিন আহমেদ, ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমানকে নিয়ে।
যদিও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন চেষ্টা করেছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে। তাসকিনকে দলে রাখার পক্ষে প্রধান নির্বাচকের যুক্তি, অধিনায়কের একটা পছন্দ ছিল। প্রেমাদাসায় খেলা, মাঠ বড়। ভালো গতি আছে, ইয়র্কার ও শর্ট বল করতে পারে, এমন খেলোয়াড় দরকার। অধিনায়ক যে পরিকল্পনা দিয়েছে, সে অনুযায়ী তাকে নেওয়া হয়েছে। সবার (দল, নির্বাচক) সম্মতিতেই তাসকিন এসেছে।
তার প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, দেশের যত ফাস্ট বোলার আছে, তাদের মাঝে তাসকিনের গতিই সবচেয়ে বেশি। এ জায়গায় আপনাদের যুক্তি মানবো না। কারণ দল সবকিছু ভেবেই ১৬ জনকে বেছে নেয়। ম্যানেজমেন্টের একটি প্ল্যানও রয়েছে। সিরিজ নিয়ে ভেবেই যে কোনো খেলোয়াড়কে বেছে নেওয়া হয়।
এদিকে তাসকিন ঘরের মাঠিতে শ্রীলঙ্কা সিরিজে দলে জায়গা পাননি। প্রিমিয়ার লিগেও জাতীয় দলের বোলারদের মাঝে সবচেয়ে বাজে বল করেছেন তিনি। তারপরেও নিদাস ট্রপির বাংলাদেশ ক্রিকেট স্কোয়াডে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তার।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাব্বিরের ১৪১ রানের চেয়ে সৌম্য সরকার ৯৪ রান বেশি করেছিলেন। অপর দিকে কিছুদিন ধরে বাজে ফর্ম যাচ্ছে সাব্বিরের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত ৬ ইনিংসে ২০ রান করেছেন সাব্বির। এর মধ্যে টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১ রান। তাকে দলে নেওয়ার প্রসঙ্গে মিনহাজুল আবেদীন বলেন, গত এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তার। দুটি অভিজ্ঞ দলের সঙ্গে খেলা হয়েছে তার। তাই ওকে বিবেচনা করা হয়েছে। আর পিএসএলেও গিয়েছে সে।
ক্যারিয়ারের দুই–তৃতীয়াংশ সময় পেস বোলারের বলে আউট হয়েছেন ইমরুল। এছাড়া ২০১৭ সালে ৬ ম্যাচে ৫২ রান করেছেন তিনি। তাকে দলে রাখার নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ইমরুল কে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে নেয়া হয়েছে, সে ফাস্ট বোলিংয়ে ভালো ব্যাটিং করতে পারে, যেহেতু টেস্টেও ওপেন করে সে।
এদিকে শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে ফাস্ট বোলারদের আধিক্য থাকবে বেশি। ভারতও যথেষ্ট ফাস্ট বোলার নিয়ে খেলে। সে কথা চিন্তা করেই তাকে নেওয়া হয়েছে।