বছরের প্রথম মাসে দেশের সার্বিক আমদানি ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার বেশি। খাদ্যশস্য, মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং জ্বালানি তেলের বেশি চাহিদা থাকায় মূলত আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে জানা গেছে, গত বছরের একই সময়ে আমদানি ৩.৮৯ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৪.৯৮ বিলিয়ন ডলারে পোঁছেছে।
গত ডিসেম্বর মাসে দেশের প্রকৃত আমদানি ছিল ৩.৬৫ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, নতুন আমদানি আদেশ (এলসি) খোলার পরিমাণ ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা গত বছর একই সময়ের ( জানুয়ারি) আমদানি ৪ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৩৩ ডলারে পৌঁছেছে। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ৩.৮৯ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, যন্ত্রপাতি, খাদ্যশস্য বিশেষ করে চাল, গম, প্রেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ায় সার্বিক আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, গত বছরের একই সময়ের আমদানি ২৬৪ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৪৮০ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরো বলেছে, পদ্মা সেতুসহ সরকারের বড় বড় প্রকল্পের জন্য আগামী কয়েক মাসে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, মূলধনী যন্ত্রপাতির (ক্যাপিটাল মেশিনারি) আমদানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্তমানে দেশে ফাস্ট ট্র্যাকের আওতায় ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। যার মনিটরিং করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।
অন্যদিকে, গত বছরের একই সময়ে চাল আমদানি ৫.৭৩ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২৪৯ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। গম আমদানি ৫৬ দশমিক ২১ মিলিয়ন ডলার থেকে ১৭২ দশমিক ০১ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
তবে আগামী কয়েক মাস চালের মৌসুমে আমদানি কিছুটা কমবে বলে অভিমত বাংলাদেশ ব্যাংকের। এছাড়া পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক আমদানি বেড়েছে বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।
গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি ২১৮ দশমিক ০৪ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩৭১ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। সামনের কয়েক মাসে সেচ কাজে জ্বালানির চাহিদা থাকার কারণে আমদানি বেড়ে যাওয়ার এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ আমদানি ৬১৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৭০৪ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান,বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা,সামনের দিনগুলোতে সার্বিক আমদানির ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।