দেশের আইনজীবীদের ওপর বিএনপির ভরসা নেই। এ কারণেই বিএনপি নেত্রীর দুর্নীতির মামলায় বিদেশী আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অধ্যাপক ড.জাফর ইকবালের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক গণ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের আইনের ওপর তাদের বিশ্বাস নেই। তাই তারা আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এক ব্রিটিশকে। যিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমেরও আইনজীবী ছিলেন।
এ সময় ১৪ দলের প্রধান সমন্বায়ক মোহাম্মদ নাসিম সাম্প্রদায়িক, জঙ্গি উত্থান ও হত্যার বিরুদ্ধে আগামী ৩০ই মার্চ রংপুরে এবং ৫ই এপ্রিল যশোরে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নাসিম বলেন, আপনারা(বিএনপি)আগামী নির্বাচনে আসেন। আমরা খেলেই গোল দিতে চায়। না খেলে গোল দিতে চাই না মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। যতই হুমকি-ধামকি দেয়া হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে ওই নির্বাচন।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিদের কাজ।
অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা কোন রাজনৈতিক হামলা নয়। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরাই এ হামলা চালিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, জাফর ইকবালের ওপর আক্রমন মানে মুক্তিযুদ্ধের ওপর আক্রমন। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ২০২১ সালের লক্ষ্যে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
গণসমাবেশে ৭১-এর ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, আগামী নির্বাচন জাতির জন্য অনেক বড় পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষার জন্য এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থাকবে না, নাকি পাকিস্তানপন্থীদের কবলে বিলীন হবে?
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে আগামী নির্বাচনে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বাচন করবে।
১৪ দলের গণসমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহদাত হোসেন, কমিনিস্ট কেন্দ্র-এর আহ্বায়ক ওয়াজেকুল ইসলাম, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউল রশীদ, সাম্যবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড লুতফর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.হারুন-অর রশিদ, সম্মলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদুস, বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জ্বালাল মহীউদ্দিন প্রমুখ।