স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের সাফল্য উদযাপন হচ্ছে আজ। উদযাপনের অংশ হিসেবে এ সমৃদ্ধির কান্ডারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের নয়, জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়ন পরিকল্পনায় গ্রামমুখী সফলতা এসেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এ সময় স্মারক ডাকটিকিট, ৭০ টাকার স্মারক নোট এবং উন্নয়ন ফটো অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপরই বিরোধী দল এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের শুভেচ্ছা জানানো হয়। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকেও শুভেচ্ছা জানান বাহিনী প্রধানরা।
এর আগে, ভোরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবস উদযাপনের কার্যক্রম শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে বিকেলে রাজধানীর ১১টি স্থান থেকে বের হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। যেটি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মূল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৪টায়। তবে দুপুর ২টার পর থেকে সচিবালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সরকারি অফিসের কর্মচারী/কর্মকর্তা ও সর্বসাধারণ গাড়িযোগে এবং পায়ে হেঁটে সমাবেশ স্থলে জমায়েত হবেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ থেকে আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে আনন্দ র্যালি করা হবে। এসব র্যালির মাধ্যমে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা হবে। এলডিসি থেকে উত্তরণে দেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে শুক্রবার বিআইসিসিতে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।