দিনাজপুরে সজিনার চাষে লাভবান কৃষক

সাদা ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে সজিনার গাছ। দেখে মনে হবে শ্বেত পালক ছড়িয়ে বসে আছে কোন সাদা ধবধবে বক পাখী। ফালগুনের শুরুতে ফুটে সজিনার ফুল। চৈত্র মাসে খাওয়ার উপযোগী হয় সুস্বাদু সজিনা।

এসময় থেকে এই সজিনা আষাঢ় মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। তবে কিছু সজিনা বার মাসেই পাওয়া যায়। সজিনার ডাটা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও রোগ প্রতিরোধক।

সজিনা গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে অতি পরিচিত। সুস্বাদু সবজি হিসাবেও পরিচিত। কিন্তু এখন শহরের মানুষের কাছেও প্রিয় একটি সবজি হয়ে উঠেছে। তাই দিন দিন এর চাহিদাও বাড়ছে এবং চাষীর লাভও বাড়ছে। মওসুমের প্রথম দিকে সজিনা বাজারে আসার সময় দাম আকাশচুম্বী থাকে। মৌসুমি সবজি হিসাবে সজিনা ডাটার সঙ্গে অন্য কোন সবজির তুলনা হয় না।

বিভিন্ন অঞ্চলে এ মৌসুমে সাজিনা সবজি প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে। কেউবা মুনাফার আশায় এ সবজির চাষ করে থাকে। শহর কিংবা গ্রামের রাস্তার পাশে এমনকি বাড়ীর আনাচে কানাচে কিংবা রাস্তার পাশে প্রতিটি গাছে বাদুর ঝুলার মত ঝুলছে সজিনা।

নবাবগঞ্জের সাজেদুল ইসলাম জানায়, সাজিনার চাষ খুব সহজ, একটি গাছের ডাল মাটিতে পুতে রাখলেই এক বছরের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ গাছে পরিণত হয়। অবহেলা আর অযত্নে বেড়ে উঠা বাড়ীর আনাচে কানাচে এই গাছটি বেড়ে উঠে। চলতি মৌসুমে জেলার প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে হয়েছে সাজিনার গাছ। অনেকে আবার বাড়ির আশপাশের পতিত জমিতেও চাষ করেছেন এই সবজির।
সাজিনা এখানকার চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। সাজিনা থেকে আয় হয় মোটা অংকের টাকা। সাজিনা আবাদে কোন বাড়তি খরচের প্রয়োজন হয় না।

সাজিনা একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু এবং অর্থকরী ফসল। সাজিনার পাতা ও সাজিনায় প্রচুর আঁশ আছে। যা খাদ্যনালী ও পরিপাকতন্ত্রেকে পরিষ্কার করে। সেই সাথে সাজিনার পাতা ও ফল ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই দিন দিন সজিনা গাছের কদর ও চাষাবাদ বেড়েই চলেছে মনে করছেন সচেতন মহল।

চলতি মৌসুমে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সাজিনার ডাটার বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে সাজিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *