আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে ৫ই মে পর্যন্ত ৭ দিনের ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ। এর মধ্যে শুক্র এবং শনিবারের সরকারি বন্ধের সঙ্গে রয়েছে বৌদ্ধ পূর্ণিমা, মে দিবস ও পবিত্র শবে বরাতের বন্ধ। এতে করে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন আমদানি রফতানিকারকরা। । ঠিক রমজান শুরু হওয়ার আগে টানা বন্ধে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ও কন্টেইনার জটের আশংকা দেখা দিয়েছে।
নানা কারণে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল-আযহার সময় ৫-৬ দিনের সরকারি বন্ধ পাওয়া যায়। কিন্তু এবার ঈদ নয়, পবিত্র রমজান শুরুর আগেই মাঝে দুদিনের বিরতি দিয়ে ৭ দিনের সরকারি বন্ধ।
এমনিতে জটিলতার মুখে পড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ ও কন্টেইনার জট কমছে না। বর্তমানে সাড়ে ৩৬ হাজার ধারণ ক্ষমতার চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার রয়েছে ৪০ হাজার ৯শ’ ৭০ টি।
আর বন্দরের প্রধান জেটিতে ১৫টির পাশাপাশি বহিঃনোঙ্গরে জাহাজ রয়েছে ১শ’ একটি। এ অবস্থায় সাতদিনের সরকারি বন্ধে চট্টগ্রাম বন্দরে ভয়াবহ জাহাজ এবং কন্টেইনার জটের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘বন্ধের কারণে পণ্যের ডেলিভারি অন্য দিনের তুলনায় কমে যাবে। পাশাপাশি সরকারের রেভিনিউ হ্রাস পাবে।’
তবে ২৪ ঘন্ট বিরতিহীনভাবে বন্দরের কার্যক্রম চললেও বন্ধের সময় ডেলিভারি নিয়ে মূল সমস্যার সৃষ্টি হয়। বন্দরের কার্যক্রমের সাথে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে অন্তত ১৫টি পক্ষ। কোনো একটি ছুটি কার্যকর করলে বন্ধ হয়ে যাবে ডেলিভারি কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানিকারক যারা চেম্বার তারা যদি সঠিকভাবে মালামাল ডেলিভারি নিতে আসে। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’
রমজান শুরু অন্তত চারমাস আগে থেকে শুরু হয় রমজানের ভোগ্য পন্য আমদানি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানরত ৫০টির বেশি জাহাজ থেকে ভোগ্যপন্য খালাস চলছে।