রক্ষণশীল সমাজের বাধা উপেক্ষা করে তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সরকার কাজ করছে বলে বৈশ্বিক নারী সম্মেলনে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।অনুষ্ঠানে নারীর ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্বে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেয়া হয় গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড। এ সময়, বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চার দফা তুলে ধরে নতুন জোট গঠনের প্রস্তাবনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের আমন্ত্রণে সিডনিতে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন গ্লোবাল সামিট অব উইমেন অনুষ্ঠানে।
সিডনি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত ঐ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশ্বের প্রভাবশালী নারী নেতৃত্বের অনেকেই। আলোচিত হয় নারীর স্বপ্ন, বাধা আর উত্তরণের বিভিন্ন নীতিগত বিষয় নিয়ে। নারী সমাজের বিস্ময়কর উন্নয়নের নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন এবারের সম্মেলনের অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ। বাংলাদেশসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারীর উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকার জন্য এবার তার হাতে তুলে দেয়া হয় গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশে সরকারের নীতিগত সহায়তায় নারীরা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
এসময় প্রান্তিক নারীর ঝুঁকি প্রশমন, সহিংসতা রোধ, জীবিকার ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠাসহ চার দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।দফাগুলো হলো-
১. নারীর সক্ষমতা নিয়ে প্রচলিত ধারণা ভাঙতে হবে।
২. প্রান্তিক অবস্থানে ঝুঁকির মুখে থাকা নারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
৩. নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকির ওপর মনোযোগী হতে হবে।
৪. জীবিকার সকল ক্ষেত্রে নারীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ায় তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে নারীর অধিকার আদায়ে নতুন জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।