সোমবার ছিল সাকিব ও তার দল হায়দরাবাদের দিন। অল্প পুঁজি দাঁড় করিয়েও বেঙ্গালুরুকে জিততে দেননি তারা। আরো একবার বোলিংয়ের শক্তি দেখিয়েছে কেন উইলিয়ামসনরা। নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের ৩৯ বলে ৫৬ ও সাকিবের ৩২ বলে ৩৫ রানের ইনিংস দুটির ওপর ভর দিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় হায়দরাবাদ।
জবাবে তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানের বেশি করতে পারেনি বেঙ্গালুরু। এই জয়ে ১০ ম্যাচ শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করল সাকিবরা।
অ্যালেক্স হেলস (৫), শিখর ধাওয়ান (১৩) ও মনিশ পান্ডে (৫) ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার পর উইলিয়ামসন ও সাকিবের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় হায়দরাবাদ। হাফসেঞ্চুরি করে উইলিয়ামসন আউট হন ৫৬ রান করে, ৩৯ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৫ চার ও ২ ছক্কায়।
অন্যপ্রান্তে সাকিব ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত রানের সঙ্গে দলীয় সংগ্রহ বাড়িয়ে নিয়েছেন। আউট হওয়ার আগে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান করে যান গুরুত্বপূর্ণ ৩৫ রান। ৩২ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৫ বাউন্ডারিতে।
ব্যাটিংয়ে পর বল হাতেও জ্বলে ওঠেন সাকিব। হায়দরাবাদেকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন তিনিই। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা পার্থিব প্যাটেলকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নে ফেরান সাকিব। তবে তার দ্বিতীয় উইকেটটা আরো গুরুত্বপূর্ণ, আউট করেছেন বেঙ্গালুরুর সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা বিরাট কোহলিকে। কোহলিকে ৩৯ রানে ফেরান তিনি ইউসুফ পাঠানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচায় সাকিব নেন ২ উইকেট।
সাকিবের সঙ্গে এই জয়ে অবদান রেখেছেন হায়দরাবাদের অন্য বোলাররাও, বিশেষ করে ভুবনেশ্বর কুমার। শেষ ওভারে জেতার জন্য বেঙ্গালুরুর দরকার ছিল ১২ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। ভারতীয় এই পেসার ওই চাপের মুহূর্তে চমৎকার বোলিংয়ে হায়দরাবাদকে এনে দেন ৫ রানের অসাধারণ জয়।