ম্যাচের বয়স তখন ২৫ মিনিট। মাঠের লড়াই জমে গেছে ততক্ষণে। আক্রমণে লিভারপুল। বল মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহর পায়ে। বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় সালাহর হাত ধরে মাটিতে ফেলে দেন রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস ।
ব্যথায় কাতরে মাঠেই শুয়ে পড়েন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। ফিজিও এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। আর ম্যাচে ফেরা হয়নি তার। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পাওয়া এই চোটে শঙ্কা জেগেছে মিশরীয় ফরোয়ার্ডের বিশ্বকাপে খেলা নিয়েই ।
এমন ট্যাকল করার পরও পার পেয়ে গেছেন রামোস। রিয়াল অধিনায়ককে কোনো প্রকার কার্ডও দেখাননি রেফারি।সালাহকে বাজেভাবে ট্যাকলের পর ফুটবল সমর্থকরা ক্ষেপেছেন রামোসের ওপররামোসের বাজে ট্যাকলের পরপরই ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার-ফেসবুকে। কেউ কেউ বলছেন, ফাইনাল জিততে ঘৃণ্য উপায় বেছে নিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক। শুধু তাই নয়, রামোসকে নোংরা খেলোয়াড় বলেও অভিহিত করছেন সবাই।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্ ডেইলি মিররের ক্রীড়া সাংবাদিক ডেভিড মাডক তো সরাসরি আসামির কাঠগড়ায় তুলেছেন রিয়াল অধিনায়ককে। তার দাবি, জেনেশুনে ইচ্ছে করেই একটি দল-দেশের স্বপ্ন নষ্ট করে দিয়েছেন রামোস।
পরবর্তী সময়ে সালাহর মাঠ ছাড়ার সময় রামোসের হাসির ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে সমর্থকদের ক্ষোভের আগুন আরও বেড়ে যায়। কেউ কেউ বলেন, রামোসের হাসি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, কাজটা সে ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছে।
স্যানিসি নামের একজন ওই ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘কাঁধে আঘাত নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়ছেন সালাহ, আর তা দেখে হাসছেন রামোস। এতেই বোঝা যায় সে মানুষ হিসেবে কেমন!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘রামোসের হাসিই প্রমাণ দেয়, সে জানত কী করছে!’