রায়হান রাফি পরিচালিত ‘দহন’ ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল আজমেরী হক বাঁধনের। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। এ নিয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা। কেউ কেউ মনে করছেন, বিয়ের পরিকল্পনা থেকেই ছবিটিতে অভিনয় করেননি বাঁধন। তবে তাদের এই ধরনের ধারণা নাকচ করে দিয়েছেন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা থেকে রুপালি জগতে আসা এই অভিনেত্রী।
২৬ মে, শনিবার একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়ে বাঁধন তার অভিব্যক্তির কথা জানান।
ওই সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি আর আমার মেয়ে একটা ভয়াবহ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছি। আমি বাচ্চাকে কখনোই এই ভয়াবহতা বুঝতে দিতে চাইনি। আমার বাচ্চাকে হয়তো শারীরিকভাবে কোনো সংগ্রাম করতে হয়নি, কিন্তু মানসিক সংগ্রাম সে ঠিকই করেছে। আমি আপাতত বিয়ের কোনো সিদ্ধান্তে যাব না।
…আমি আর আমার মেয়ের মানসিক প্রস্তুতির দরকার আছে। আমাদের জীবনে আরেকজনকে চাই। এটাও সত্যি, আমার মেয়ে এখনো এত কিছু বোঝে না, তবে সে-ও একটা পরিবার চায়। নিজেকে আরও গুছিয়ে সিদ্ধান্তটা নিতে চাই। এ ছাড়া বিয়ের জন্য মনের মতো মানুষও তো পেতে হবে। এটা ঠিক, বিয়ের জন্য অনেকে প্রস্তাব দিয়েছেন।’
‘দহন’ ছবির কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বাঁধন। ‘ব্যক্তিগত কারণে’ই ছবিটি ছেড়েছেন বলে জোর দিয়ে বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে বাঁধন আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত বিষয়টা ব্যক্তিগতই থাক। ওটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। কয়েক মাস আগে আমি যখন ফটোশুট করা ছবি ফেসবুকে দিই, আমার বদল দেখে অনেকে চমকে যান।
তখন অনেকে বলেছেন, আমি ছবিতে অভিনয় করব, নাকি বিয়ে করব?’
আদালতের নির্দেশে মেয়ের অভিভাবকত্ব পেয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এখন থেকে মেয়ে সায়রা মায়ের কাছেই থাকবেন। মায়ের উপস্থিতিতে বাড়িতে গিয়ে বাবা মাসে দুবার শুধু দেখা করতে পারবেন।
গত ৩০ এপ্রিল, সোমবার ঢাকার পারিবারিক আদালত-১২ এক আদেশে এই রায় দেন।
২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর ব্যবসায়ী মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে সংসার ভাঙে অভিনেত্রী বাঁধনের। এর আগে ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পরিচিতদের না জানিয়েই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তারা।