টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানের চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। আফগানদের সাম্প্রতিক ফর্মও খারাপ নয়। এরপরও দল নিয়ে আলোচনা নয়, দৃষ্টি কেবল একজনের দিকে। আফগানিস্তানের কথা উঠলেই আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠেন লেগ স্পিনার রশিদ খান। কিন্তু এই আলোচনা মোটেও মনে ধরেনি সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, রশিদকে নিয়ে কারা আলোচনা করেন?
আফগান লেগ স্পিনারকে সামলানোর প্রস্তুতি কীভাবে নিচ্ছেন—বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের এমন প্রশ্ন প্রায় সবসময়ই শুনতে হচ্ছে। ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগান লেগ স্পিনারকে সামলানোই যেন একমাত্র চ্যালেঞ্জ! কিন্তু আইপিএল শেষ করে সোমবার দেশে ফেরা সাকিব বলছেন, একজনকে নিয়ে এত মাতামাতির কিছু নেই। শুধু রশিদ নয়, যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন, সবাই ভালো বোলার।
যে কারণে রশিদকে নিয়ে কারা আলোচনা করেন, সেটা জানতে চান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএলের সবগুলো ম্যাচ খেলা সাকিব, ‘কারা আলোচনা করে? আপনারা প্রশ্ন করলে প্লেয়াররা উত্তর দিচ্ছে? নাকি প্লেয়াররা আলোচনা করছে? যাই হোক, ঠিক আছে। সবাই তো ভালো বোলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যারা খেলে, সবাই ভালো বোলার। কেউ ভালো বল করবে কেউ খারাপ বল করবে। ভালো ব্যাটসম্যানরা সেটাকে ভালোভাবে হ্যান্ডেল করবে এটাই নিয়ম।’
রশিদ খানকে খেলার জন্য আলাদা পরিকল্পনা থাকবে কি না? এমন প্রশ্নে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটারই তাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এই তালিকায় আছেন মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালের মতো ব্যাটসম্যানও। কিন্তু সাকিব ভাবছেন অন্যভাবে। পরিকল্পনার কথা না জানিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেন, ‘আপনারা প্রশ্ন করলে আলোচনা হবেই। আমি উত্তর দিলাম না, আলোচনাও হলো না।’
রশিদকে সেভাবে গুরুত্ব না দিলেও টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বলছেন, ‘আসলে টি-টোয়েন্টিতে ফেভারিটের মতো কোনো তকমা থাকে না। যেকোনো দল যেকোনো সময় যে কাউকে হারাতে পারে। যেহেতু আফগানিস্তান আমাদের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে, আমি বলব ওরাই ফেভারিট। কোন জায়গায়, কোনভাবে খেললে আমাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে সেইভাবে চেষ্টা করব।’
সাকিবের এবারের আইপিএল অভিজ্ঞতা ভালোই ছিল। হায়দরাবাদের হয়ে ১৭ ম্যাচে ২৩৯ রান ও ১৪ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। যদিও আরো ভালো করতে না পারার আক্ষেপ করতে দেখা গেল তাকে, ‘ভালোই। হয়তো আরেকটু ভালো হতে পারত। তবে দলের যে রেজাল্ট হয়েছে আমি তৃপ্ত। ব্যক্তিগতভাবেও সন্তুষ্ট। তবে একটা অতৃপ্তি আছে। সেটা হলো, প্রতি ম্যাচেই ভালো শুরুর করার পরেও রান বড় করতে পারিনি।’
হায়দরাবাদের হয়ে ফাইনাল খেলা সাকিব এবারই প্রথম আইপিএলের সব ম্যাচ খেলেছেন। এই অভিজ্ঞতা দেরাদুনে আফগানিস্তান সিরিজে কাজে দেবে বলে বিশ্বাস তার, ‘একই কন্ডিশন, একই জায়গায় খেলা হবে। তো অবশ্যই কাজে আসবে। যদিও দেরাদুনে আমাদের কোনো ম্যাচ হয়নি। তারপরেও আমার মনে হয় একইরকম হবে। ভারতে সাধারণত যে ধরনের উইকেট থাকে, তেমনই হবে। এই অভিজ্ঞতাটা অবশ্যই কাজে আসবে।’