মা সোনিয়া গান্ধীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিদেশে গেছেন রাহুল গান্ধী।‘কয়েক দিনের জন্য ভারতের বাইরে যাচ্ছি। সোনিয়া জির সঙ্গে তাঁর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা বিজেপির ট্রল সেনারা, এ নিয়ে খুব বেশি উত্তেজনা ছড়াবেন না…আমি শিগগিরই ফিরে আসব’—গত রোববার এমনই এক টুইট করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গতকাল রাতে দেশ ছাড়ার আগে এভাবে বিজেপির সমর্থকদের কটাক্ষ করেন রাহুল। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তবে সোনিয়া গান্ধী সেখানে বেশ কিছুদিন থাকবেন।

ভাইরাসজনিত সংক্রমণে ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি অস্ত্রোপচার হয় ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) চেয়ারপারসন ও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর। এরপর থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন তিনি। এবার তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন ছেলে ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

সূত্র জানিয়েছে, রাহুল গান্ধীর বিদেশ সফরের সময়ে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে কর্ণাটকে মন্ত্রিত্ব বণ্টনের বিষয়টিও। গত সপ্তাহে কর্ণাটকে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছে জেডিএস। কোন দল কোন মন্ত্রণালয় পাবে, তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেননি কংগ্রেস ও জেডিএস নেতারা। গণমাধ্যম পিটিআইয়ের এক সংবাদে বলা হয়, দেশ ছাড়ার আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কর্ণাটকে মন্ত্রিত্ব বণ্টনের বিষয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি।

জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতারা বিষয়টি নিয়ে দেরি করতেও চাইছেন না। কংগ্রেস নেতা কে সি ভেনুগোপাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাহুলের অনুপস্থিতির কারণে এ বিষয়ে বিলম্ব হবে না। তাঁকে ২৪ ঘণ্টাই ফোনে পাওয়া যাবে।’

এদিকে অল্প সময়ের মধ্যেই রাহুল গান্ধীর ওই টুইটের জবাব দেয় বিজেপি। পাল্টা টুইটে সোনিয়া গান্ধীর সুস্থতা কামনা করে বলা হয়, ‘কর্ণাটকের নারীরা মন্ত্রিপরিষদ গঠনের জন্য অপেক্ষা করছে, যাতে রাজ্য সরকার তাদের সেবা করতে পারে। দেশত্যাগের আগে কর্ণাটকে যেন কার্যকর সরকার গঠিত হয়, এটি কি আপনি নিশ্চিত করতে পারেন? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবাই আশা করেন যে আপনি আমাদের সেখান থেকেও বিনোদন দেবেন।’

আগামী ৬ জুনের মধ্যে দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে রাহুল গান্ধীর। ওই দিন মধ্যপ্রদেশে এক র‍্যালিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। গত বছরের এই দিন বিজেপি-শাসিত মন্দশৌরে ফসলের ন্যায্যমূল্য ও ঋণ মওকুফের দাবিতে চাষিদের বিক্ষোভের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। সেই বার্ষিকী পালনে র‍্যালি অনুষ্ঠিত হবে।