কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নাজমুল আলম (২৭)। গতকাল রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে কী কারণে বা কারা হত্যাকা- চালিয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন আতিকুর। পরিবার সূত্র জানায়, নাজমুল দুই দিন আগে বিয়ে করেন।ঘটনার দিন রাতে নিজ কক্ষেই স্ত্রী ঊর্মি খাতুনসহ ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা তার মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। নাজমুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে শটগানের একটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। নিহতের মা নাজমা খাতুন বলেন, ছেলে বউমাকে নিয়ে শহর ও গ্রামে ঘুরে রাত ১০টায় বাড়ি ফেরে। খাওয়া শেষে দুজনই শোয়ার ঘরে যান। রাত তিনটার কিছু আগে হঠাৎ গুলির শব্দ পান। ঘর থেকে বের হতে গেলে নাজমুলের বাবা আলতাব হোসেন তাকে বাধা দেয়। কয়েক মিনিট পর ছেলের ঘরে গিয়ে দেখতে পান খাটের পাশে মেঝেতে ছেলে পড়ে আছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ঘটনার পর স্ত্রী ঊর্মি খাতুন ও বাবা আলতাব হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।