বেতন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য দাবিতে ভারতের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মীরা আজ বুধবার সকাল ছয়টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করেছেন। ফলে, খোলেনি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এবং সেসব ব্যাংকের এটিএম বুথ। এতে বেড়েছে গ্রাহকদের ভোগান্তি। আগামী শুক্রবার সকাল ছয়টায় এই ধর্মঘট শেষ হওয়ার কথা।
ভারতের ব্যাংক ব্যবস্থাপনা সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ) গত ৩১ মার্চ তাদের ২০১২ সালের পর কর্মী ও কর্মকর্তাদের ২ শতাংশ হারে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। এতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি ‘ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন’। এই ঘোষণায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আজ ও কাল ৪৮ ঘণ্টার ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ৩০ মে সকাল ছয়টা থেকে আগামী ১ জুন সকাল ছয়টা পর্যন্ত চলবে এই ধর্মঘট। এই দুদিনে অচল হয়ে পড়বে গোটা দেশের ব্যাংকিং পরিষেবা।
আইবিএর সচিব সি এইচ ভেঙ্কটচালাম বলেছেন, মাত্র ২ শতাংশ বেতন-ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তাঁরা মানছেন না। ২০১২ সালে এই বেতন-ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছিল ১৫ শতাংশ হারে। নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছর পর বাড়ে বেতন। সেই লক্ষ্যে গত বছর মাত্র ২ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হয়।
বেতন বৃদ্ধি যথাযথ না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর সংগঠন ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাংক ইউনিয়নস (ইউএফবিইউ) ৫ মে এক বৈঠকে বসেছিল আইবিএর সঙ্গে। বৈঠকে উভয় পক্ষের কাছে কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান মেলেনি। তাই ইউএফবিইউ প্রস্তাবিত বেতন হার পরিবর্তন করে নতুনভাবে তা ঘোষণার দাবি তুলেছে। ইউএফবিইউ নয়টি ইউনিয়নের যৌথ সংগঠন। ফলে, এবার ব্যাংক কর্মীদের সব কটি ইউনিয়নই এই ধর্মঘটে শামিল হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এই ধর্মঘটের ফলে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের ৯ হাজার ৮০০টি শাখার কার্যক্রম স্তব্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের ২১ হাজার এটিএম বুথের কার্যক্রমও। আর সারা দেশে রয়েছে ব্যাংকের ৩৫ লাখ শাখা এবং সোয়া ২ লাখ এটিএম বুথ। এ কারণে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছেন সারা দেশের ব্যাংক গ্রাহকেরা।