(স্বদেশ নিউজ ২৪.কম) পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-পরিজনদের সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন রাজধানীর নিমতলী ট্র্যাজেডির সেই তিন কন্যা ও তাদের স্বামী-সন্তানরাও।
২ জুন, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফতারের আগে বিভিন্ন টেবিল ঘুরে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সে সময় সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
ইফতারের আগে দেশ-জাতি এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
মোনাজাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মুজিবসহ সকল শহীদ, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
ইফতার মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়-পরিজনদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী, অভিনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৫ জন মানুষ নিহত হন। ওই ট্র্যাজেডির পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মা-বাবা হারানো উম্মে ফারুয়া রুনা, সাকিনা আক্তার রত্না ও আসমা আক্তার শান্তার মায়ের দায়িত্ব নেন।
অগ্নিকাণ্ডের পাঁচদিনের মাথায় ৯ জুন গণভবনে মহাধুমধামে শেখ হাসিনা তাদের বিয়ে দেন। নিজেই তিন কন্যাকে মায়ের মমতা দিয়ে ভুলিয়ে দেন মা হারানোর বেদনা। গণভবনের ওই বিয়েতে প্রধানমন্ত্রী পুরো বাঙালিয়ানা পরিবেশেই কন্যাদের তুলে দেন বরের হাতে।
তিনজনের স্বামীকেই নিজের মেয়ে জামাই স্বীকৃতি দিয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিও দেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে তিন কন্যার উকিল বাবারও দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।
তাদের মধ্যে রুনার উকিল বাবা হন হাজী সেলিম এমপি, রত্নার উকিল বাবা হন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ আর আসমার উকিল বাবা হন তৎকালীন এমপি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন কন্যা হিসেবে রুনা, রত্না আর আসমা আশপাশের বাসিন্দাদের চোখে যেমন সম্মানের পাত্রী, একইভাবে তাদের সন্তানরাও স্নেহ পায় প্রধানমন্ত্রীর নাতি-নাতনি হিসেবেই।