(স্বদেশ নিউজ ২৪.কম) কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত কামাল খান ওরফে কামরুল ইসলাম ওরফে কামু (৩২) নামে এক ব্যক্তির পরিচয় ও মামলা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়শা। ডিবি পুলিশ বলছে, গাজীপুরে ‘বন্দুকযদ্ধে’ নিহত কামুর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। অন্যদিকে সদর থানা বলছে, এই নামের কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় কোনো হত্যা মামলা রয়েছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় তারা।
৩১ মে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কামু নামের ওই ব্যক্তি নিহত হন। পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) আমীর হোসেন জানান, ‘নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় কামুর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও গাজীপুর, কালীগঞ্জ ও ঢাকার শেরে বাংলা থানায় আরও ১২টি মামলা রয়েছে।’
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, এই নামে কোনো ব্যক্তির নামে সদর থানায় কোনো হত্যা মামলা নেই।
এ সম্পর্কে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সদর থানায় যদি তার বিরুদ্ধে মামলা থাকত তাহলে আমাদের কল করে জানানো হতো। আমাদের এখনো কিছু জানানো হয়নি। আর আমার জানা মতে, এই নামে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সদর থানায় নেই।’
এ বিষয়ে ২ জুন, শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় যোগাযোগ করলে প্রিয়.কমকে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কোথায় কে মারা গেছে, তার কিছুই আমি জানি না । আমাদের কেউ কিছু জানায়নি । ফলে নিশ্চিত বলতে পারছি না এই নামে কোনো মামলা রয়েছে কি না। খোঁজ করে দেখলে বলা যাবে। আমাদের জানানো হলে খুঁজে দেখব।’
চারদিকে যখন ‘বন্দুকযুদ্ধ’ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে, সেখানে আবার নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে গাজীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কামাল খান ওরফে কামরুল ইসলাম ওরফে কামুকে নিয়ে।
পুলিশ প্রথমে জানিয়েছিল, গাজীপুরে নিহত ব্যক্তির নাম কামরুল ইসলাম কামু। নিহত কামু টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার মৃত সিরাজ উদ্দিন খান ওরফে তমিজউদ্দিন খানের ছেলে। পরে জানা যায়, এই পরিচয়ের ব্যক্তি কাশিমপুর কারাগারে দুই বছর ধরে সাজা ভোগ করছেন। কামুর স্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। কারাগারে খোঁজ নিয়েও দেখা যায়, এই নামের ব্যক্তি কারাগারে আছেন এবং জীবিত।
পরবর্তী সময়ে পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম কামাল খান ওরফে কামু। তিনি টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর এলাকার মৃত সিরাজ খানের ছেলে।
ইতোমধ্যে কামুর নামে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা মামলা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।