লেখক, বিশাকা প্রকাশনীর সবত্বাধিকারী ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান বাচ্চু হত্যার প্রধান আসামি জেএমবি সদস্য আব্দুর রহমান গ্রেপ্তারের পর বুধবার দিবাগত রাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা ইন্টেলিজেন্ট অফিসার (ডি আই ওয়ান) মো. নজরুল ইসলাম জানান, এর আগে ২৪ শে জুন পুলিশের কয়েকটি টিম
একত্রে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে জেএমবি সদস্য আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। বাকি সঙ্গীদের ধরার জন্য বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার খাসমহল বালুর চরে তাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়। তবে আব্দুর রহমানকে নিয়ে ফিরে আসার সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায় রহমানের সঙ্গীরা। পুলিশও পাল্টা হামলা চালালে আব্দুর রহমান নিহত হয়।এ সময় সিরাজদিখান থানার তিন পুলিশ সদস্য এএসআই দেলোয়ার, হাসান এবং কনস্টেবল মোশারফ আহত হয়। তাদেরকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জঙ্গিরা দুই মাস ধরে খাস মহল বালুর চরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। এ ঘটনায় হ্যান্ড গ্রনেড, আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১১ই জুন সন্ধ্যায় ইফতারের আগ মুহূর্তে সিরাজদিখান উপজেলার মুন্সীগঞ্জ-শ্রীনগর সড়কের কাকালদি তিন রাস্তার মোড়ে আনোয়ার সর্দারের ওষুধের দোকানের সামনে ছিলেন ঢাকার বিশাকা প্রকাশনির স্বত্বাধিকারী, কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান বাচ্চু। এ সময় সড়কের পূর্বদিক থেকে দুইটি মোটরসাইকেলে করে হেলম্যাট পরা চার যুবক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর বাচ্চুর বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে রাস্তায় ফেলে রেখে দুবৃর্ত্তরা সড়কের উত্তরদিক দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ শাহজাহান বাচ্চুকে উদ্ধার করে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ১২ই জুন দুপুরে বাচ্চুর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শাহজাহান বাচ্চু হত্যার ঘটনায় গত ১২ই জুন তার দ্বিতীয় স্ত্রী আফসানা জাহান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা করেন।