জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন দু’জনই। সতীর্থরা যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে নামছেন তখন মনের আক্ষেপ মেটালেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাব্বির রহমান রুম্মান। গতকাল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ‘এ’ দলের হয়ে প্রথম চার দিনের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এ দু’জন। শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে অধিনায়ক সৈকত ১৩৫ ও সাব্বিরের অপরাজিত ১৪৪ রানের ইনিংসে দারুণ জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশ এ দল। এর আগে লঙ্কানরা থিরামান্নের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ৪৪৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল। জবাবে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৬০ রান।স্বাগতিকরা এখনো পিছিয়ে রয়েছে ৮৯ রানে। তবে প্রথম ম্যাচের ফল ড্র’র দিকেই গড়াচ্ছে।
তৃতীয় দিন শেষে সাব্বির ২৫৭ বলে ১৪৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তার ইনিংসে ছিল ১৩ চার ও ২ ছয়ের মার। এর আগে ১৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন মোসাদ্দেক। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েছেন ২০৯ রানের জুটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি মোসাদ্দেকের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আগেরটি বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে হাঁকিয়েছেন চলতি বছরের এপ্রিলে। ঐ ম্যাচে রাজশাহীতে বিসিএলের সর্বশেষ রাউন্ডে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার দশম সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২৪৩ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায়। অন্যদিকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাব্বিরের এটিই ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। আগের ইনিংসটি ছিল সর্বোচ্চ ১৩৬ রানের। আজ ম্যাচের শেষদিনে তিনি মাঠে নামবেন নিজেকে আরো ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে। সৈকত আউট হওয়ার পর আরেক তরুণ জাকির হাসান অপরাজিত আছেন ২৭ রানে। তিনি সঙ্গ দিচ্ছেন সাব্বিরকে।
এর আগে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের প্রথমদিনে লঙ্কানরা তুলেছিল ৪ উইকেটে ১৭১ রান। সেখান থেকে রানপাহাড় গড়ে থিরিমান্নের ক্যারিয়ারসেরা ১৬৮ রানে। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন আশালঙ্কা ৯০ ও আসান শাম্মুর ৭০ রান করে। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। দুই উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তোলার পর দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে। তৃতীয় দিনের সকালেই ঘরোয়া ক্রিকেটের রানমেশিন তুষার ইমরান নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ১১ বছর পর ধরে জাতীয় দলের বাইরে তিনি। তবে এবার ‘এ’ দলে জয়ে সুযোগ পেয়েছেন। যাকে তিনি ভাবছেন ফের জাতীয় দলের ফেরার মঞ্চ হিসেবে। তবে এ সুযোগে মাত্র ২৫ রান করেন তুষার। লাকসান সান্দাকানের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। তবে ৮ রান নিয়ে শুরু করা ‘এ’ দলের অধিনায়ক মোসাদ্দেক খেলে যান সাবলীল ঢংয়ে। ১৩৫ করার পর বোল্ড হন জয়সুরিয়ার বলে।