দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ানের মতো বিতর্কিত অঞ্চলগুলোতে এক ইঞ্চিও ছাড় দেবে না চীন। বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে এই বার্তা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, পারস্পরিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে চীন সফর করেন জিম ম্যাটিস। কিন্তু তাকে বেশ কড়া ভাষায় সতর্ক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। ম্যাটিসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ড রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার ও দৃঢ়।আমাদের পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া ভূ-খণ্ডের এক ইঞ্চিও আমরা হারাতে দেবো না। অন্যদের থেকেও আমরা কিছু পেতে চাই না।’ এসময় শি জিন পিং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ককে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বন্ধন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যকার এই উষ্ণ সম্পর্ক বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়তা করবে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরেই দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। গত কয়েক বছরে এ উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি সেখানে সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে চীন। দেশটি এই অঞ্চলের বেশির ভাগ অংশ নিজেদের বলে দাবি করে। সেখানে কয়েকটি সামরিক স্থাপনাও তৈরি করেছে চীন। এই অঞ্চল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ছোট দেশের সঙ্গে চীনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ মাসের শুরুতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন, দক্ষিণ চীন সাগরে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে চীন। তিনি বলেন, সেখানকার কৃত্রিম দ্বীপগুলোতে চীন সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে। তিনি চীনের এ পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এদিকে, চীন অভিযোগ করেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটি সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌ-মহড়া রিমপ্যাকে অংশগ্রহণ করার জন্য চীনকে দেয়া আমন্ত্রণপত্র প্রত্যাহার করে নেয়। এর পরে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। এর মধ্যেই চীন সফর করলেন ম্যাটিস। আর স্বাভাবিকভাবেই তাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলো চীন।